আইএস-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া
২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫আইএস-এর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার সমন্বিত বিমান হামলা শুরু হতে পারে৷ ওবামার সঙ্গে বৈঠকে এমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন পুটিন৷ বাশার আল-আসাদকে নিয়ে মতবিরোধ থাকলেও আইএসকে হটানোর প্রশ্নে রুশ ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রায় একই অবস্থানে৷
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমের বড় একটা অংশ জুড়েই এখন বহুল প্রতীক্ষিত ওবামা-পুটিন বৈঠকের খবর৷
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বার্ষিক অধিবেশন শুরুর আগে থেকেই সংবাদ শিরোনামে আসছিল যু্ক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের এই সম্ভাব্য বৈঠকের প্রসঙ্গ৷ অধিবেশনে ভাষণ দিয়েছেন দুজনই৷ সে ভাষণে পারস্পরিক সমালোচনাও স্থান পেয়েছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেন সংকট প্রসঙ্গে ওবামা স্বাভাবিক কারণেই রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর ছিলেন৷ তবে পাশাপাশি ইসলামি জঙ্গি সংগঠন আইএসবিরোধী বক্তব্যও ছিল ভাষণে৷ সেখানেই ঐক্য যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার৷ নিজ নিজ আনুষ্ঠানিক বক্তব্য শেষে দুই রাষ্ট্রপতি যখন একান্ত বৈঠকে মিলিত হলেন তখন ঘুরেফিরেই তাই এসেছে আইএস প্রসঙ্গ৷
সেখানে আইএস-কে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করতে গিয়ে জঙ্গি সংগঠনটির কার্যকলাপকে নাৎসিদের অপকর্মের সমতুল্য মনে করার পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন পুটিন৷
সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস-এর বিরুদ্ধে বিমান হামলা চলছে৷ সেই হামলার নেতৃত্ব দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র৷ পুটিন জানিয়েছেন, ইউক্রেন সংকটের কারণে যুক্তরাষ্ট্র যদিও রাশিয়ার ওপর বাণিজ্যিক অবরোধ আরোপ করেছে তা সত্ত্বেও তিনি মনে করেন আইএস-এর বিরুদ্ধে দু দেশ ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়তে পারে৷ পুটিন আরো জানান, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলমান বিমান হামলায় রাশিয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টিও তাঁর বিবেচনায় থাকবে৷
অন্যদিকে সিরিয়া সংকটের দিকে আলোকপাত করতে গিয়ে বারাক ওবামা বলেছেন, গত প্রায় চার বছরের যুদ্ধে সেই দেশের অন্তত ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ গৃহহারা হয়েছে, ঝরেছে অসংখ্য প্রাণ, এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বসে থাকতে পারেনা৷
আইএস বিরোধী যুদ্ধে ইরান ও ইরাকের সঙ্গে মিলে কাজ করবে রাশিয়া৷ ভ্লাদিমির পুটিন এবং ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানি মনে করেন, সিরিয়ায় শাসক পর্যায়ে পরিবর্তনের দরকার আছে, তবে আইএসকে পরাস্ত না করা পর্যন্ত সে দেশে বাশার আল-আসাদেরই ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন৷
সিরিয়া সংকট নিয়েও এক সাথেই কাজ করবে রাশিয়া ও ইরান৷ ওবামা জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে তাঁর দেশও রাশিয়া এবং ইরানের সঙ্গে পাশে থাকতে পারে৷
তবে বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতায় রেখে সিরিয়া সংকট নিরসনের বিষয়টিতে এখনো যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি আছে৷ বিশ্লেষকরা মনে করেন, যুক্তরাষ্ট্র আর রাশিয়ার মধ্যে আপাতত দুটি দেয়াল, প্রথমটি ইউক্রেন আর দ্বিতীয়টি বাশার আল-আসাদ৷
এসিবি/জেডএইচ (এএফপি, এপি, রয়টার্স)