আইভরি কোস্টে হুমকি, পাল্টা হুমকি
২৬ ডিসেম্বর ২০১০তিনি বলছেন, যদি আঞ্চলিক নেতারা বাগবোকে ক্ষমতা থেকে সরানোর চেষ্টা করেন তাহলে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে৷ এর ফলে আঞ্চলিক অর্থনীতি ধ্বংসের মুখে পড়বে বলে জানান তিনি৷ তিন দেশের প্রেসিডেন্টের সফরকে বাগবোকে মানানোর শেষ চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে৷ তবে বাগবো'র মুখপাত্র আহুয়া ডন মেলো এই চেষ্টাকে পশ্চিমা বিশ্বের ষড়যন্ত্র বলে অভিহতি করেছেন৷ এর পেছনে ফ্রান্সের হাত রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন৷ উল্লেখ্য, ফ্রান্স হলো আইভরি কোস্টের প্রাক্তন শাসক দেশ৷ ঐ মুখপাত্র বলছেন, তাঁরা আলোচনার জন্য প্রস্তুত আছেন৷
আঞ্চলিক অর্থনীতি ধ্বংস
গৃহযুদ্ধ শুরু হলে আইভরি কোস্টে থাকা প্রতিবেশী দেশের অভিবাসীরা বিপদে পড়তে পারে৷ ফলে অভিবাসীদের অর্থ পাঠানো বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ আশেপাশের দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিকভাবে আইভরি কোস্টের অবস্থা ভাল হওয়ায় অনেক অভিবাসী লোকের বাস সেখানে৷ বিশ্বের এক তৃতীয়াংশ কোকোয়া রপ্তানি হয় আইভরি কোস্ট থেকে৷ এছাড়া দেশটির তেল খাতও অনেক সমৃদ্ধ৷ সঙ্গে রয়েছে দুটি সমুদ্র বন্দর৷ সব মিলিয়ে কয়েকবছর আগে দেশটিতে গৃহযুদ্ধ হয়ে গেলেও অর্থনীতির অবস্থা ভাল৷ তাইতো বাগবোর মুখপাত্র মেলোর ধারণা, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলো আইভরি কোস্টের ব্যাপারে নাক গলাবেনা৷ তিনি বলেন আইভরি কোস্ট হলো অভিবাসীদের দেশ৷ পশ্চিম আফ্রিকার সব দেশের নাগরিক কাজ করেছে আইভরি কোস্টে ৷ মেলো বলেন, বুর্কিনা ফাসো কী চাইবে তার ত্রিশ লক্ষ নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে নিতে?
মেলোর এই ধরণের কথাবার্তা একটি বিষয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ সেটা হচ্ছে, গৃহযুদ্ধ শুরু হলে এইসব অভিবাসীদের উপর হামলা হতে পারে৷ যেমনটা হয়েছিল এর আগেরবার৷
হাজার হাজার লোক দেশ ছেড়েছেন
জাতিসংঘ বলছে প্রায় ১৪,০০০ লোক দেশ ছেড়ে লাইবেরিয়ায় চলে গেছে৷ এদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু৷ তাদের ভয় দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু হতে পারে৷ ঠিক যেমনটা আশঙ্কা জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি-মুন সহ অন্যান্য পশ্চিমা নেতাদের৷ জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর, পালিয়ে যাওয়া নাগরিকদের সহায়তার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে৷ সংস্থাটি বলছে, শরণার্থীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে৷ এছাড়া লাইবেরিয়ার যেসব গ্রামে শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে তাদের জন্যও সাহায্য প্রয়োজন বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর৷
প্রতিবেদন: জাহিদুল হক
সম্পাদনা: ফাহমিদা সুলতানা