আওয়ামী লীগের টিকেট চান সাবেক আইজিপি শহীদুল
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩শুক্রবার ‘ডয়চে ভেলে খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়' টকশো-তে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি৷ আলোচনার শেষ দিকে উপস্থাপকের প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ নমিনেশন দিলে নির্বাচন করব৷ ইচ্ছা আছে৷''
তবে বিএনপি থেকে মনোনয়ন চান না বলে জানিয়েছেন তিনি৷
অনুষ্ঠানে এবারের আলোচনার বিষয় ছিল ‘নির্বাচনকেন্দ্রিক নিয়োগ ও কূটনীতি'৷ অনুষ্ঠানটিতে আরো অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল৷
আলোচনার শুরুতে পুলিশ কতটা সরকারের কথা শুনে চলে, সে প্রশ্নের জবাবে শহীদুল হক বলেন, ‘‘সরকার দেশ চালাবে৷ আর রাষ্ট্রের কর্মচারীরা সরকারের কথা শুনবে৷ এটাই নিয়ম৷ এখানে পুলিশকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখলে হবে না৷''
তবে পুলিশ তার নিয়মের মধ্যেই মূলত চলে বলে মন্তব্য করেন তিনি৷
‘‘পুলিশ চলে পুলিশ অ্যাক্ট ১৮৬১-এর মাধ্যমে৷ পুলিশ কারো নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করেনা৷ বিশেষ পরিবস্থিতিতে তারা সরকারের নির্দেশে কাজ করে৷ সেক্ষেত্রে তারা তাদের আইনের মধ্যে থেকেই কাজ করে,'' বলেন শহীদুল৷
শহীদুল মনে করেন সরকার পুলিশে তাদের অনুগত লোক চাইবে এটাই স্বাভাবিক৷ তিনি বলেন, ‘‘বাংলাদেশে অনেক গোয়েন্দা সংস্থা আছে৷ কে কোন মতাদর্শে তা জানতে তেমন কোন ভুল হয় না৷ সরকার তাদের ‘লয়াল' লোকই চাইবে৷ এটা নতুন কিছু নয়৷''
পুলিশ সরকারের অনুগত থাকলে প্রশ্নাতীত নির্বাচন করা সম্ভব কি না জানতে চাইলে অবশ্য শহীদুল বলেন, ‘‘পুলিশে যারা আছেন তার ৩০ পারসেন্টও আওয়ামী লীগের নয়৷''
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘‘নির্বাচনকালীন পুলিশ বা প্রশাসনে বদলির সঙ্গে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্পর্ক আছে৷''
তিনি মনে করেন, নির্বাচনে প্রভাব রাখতেই এমন বদলি করা হয়৷
‘‘বদলির সঙ্গে নির্বাচনের সঙ্গে সম্পর্ক আছে, তাতে কোন সন্দেহ নাই,'' বলেন তিনি৷ ‘‘বিরোধী দলকে দমনের ক্ষেত্রে যারা নির্দয় ভুমিকা রাখে, তাদের সরকার পুরস্কৃত করে৷''
এছাড়া পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে জনগণ ভয় পায় বলেও মনে করেন তিনি৷
জেডএ/এআই