বাজেট নির্মান
১৯ মে ২০১২এবারের এডিপি চূড়ান্ত করার আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে তাদের উন্নয়ন চাহিদা নেয়া হয়েছে৷ আর যে চাহিদা পাওয়া গেছে, তাতে এডিপি হওয়া দরকার ৬০,০০০ কোটি টাকার৷ কিন্তু শেষ পর্যন্ত এডিপি ৫৪,৩০০ কোটি টাকার হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ এর মধ্যে নিজস্ব অর্থায়ন ৩২,৮০০ কোটি টাকা আর ২১,৫০০ কোটি টাকা বিদেশি উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে পাওয়া যাবে৷
পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম জানিয়েছেন, এবারেও সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি৷ দ্বিতীয় স্থানে পরিবহণ এবং তৃতীয় অবস্থানে থাকছে শিক্ষা ও ধর্ম৷ তবে স্থানীয় পর্যায়ের উন্নয়ন সহায়তা নামে আলাদা নতুন একটি খাত থাকছে৷ আর সেই খাতে বরাদ্দ দেয়া হবে ১৫১৭ কোটি টাকা৷ পল্লি এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন খাতে ঐ অর্থ ব্যয় করা হবে৷
এডিপি'তে মোট ১৭টি খাতে মোট ১৪৩৭টি প্রকল্প থাকছে৷ এর মধ্যে নতুন প্রকল্প ২৮০টি৷ ড. শামসুল আলম জানান, এবার আগ্রাধিকার খাত হিসেবে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্পেও বরাদ্দ রাখা হচ্ছে৷
কখনোই এডিপি পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হয়না৷ এজন্য দক্ষতা এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনার অভাবকে দায়ী করা হয়৷ আর বিদেশি অর্থের পুরোটা পাওয়া যায়না৷ তারপরও চলতি বাজেটের তুলনায় আসছে বাজেটে এডিপি'র আকার ৩২ভাগ বেশি হওয়ার কোনো যুক্তি আছে কিনা জানতে চাইলে ড. শামসুল আলম বলেন, বাস্তবতার নিরিখেই এডিপি'র বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে৷
অনেক সমালোচনা থাকলেও এডিপি'তে এবারো থোক বরাদ্দ থাকছে৷ যার পরিমাণ ১৭৪০ কোটি টাকা৷ জানা গেছে, এবার এডিপি বাস্তবায়ন মনিটরিং করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হবে৷ আর এ সবকিছুই আজ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এনইসি'র নির্বাহী সভায় পাশ হওয়ার কথা৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ