1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আঙুলের হাড় দিয়ে মানবজাতির নতুন পূর্বপুরুষ আবিষ্কার

২৩ ডিসেম্বর ২০১০

গবেষকরা মানবজাতির আদি পূর্বপুরুষ বলে পরিচিত নিয়ানডারথাল মানবের অজ্ঞাতনামা এক আত্মীয়কে শনাক্ত করেছেন - যে এশিয়ায় বাস করত ৩০ থেকে ৫০ হাজার বছর আগে৷

https://p.dw.com/p/zooC
কঙ্কাল নিয়ে গবেষণা কখনো থেমে থাকেনিছবি: Steffen Leidel

বিজ্ঞানীরা শুধুমাত্র একটি আঙুলের হাড় ও একটি আক্কেল দাঁত ব্যবহার করে ডেনিসোভান হিসেবে পরিচিত সম্প্রদায়ের গোটা জিন কাঠামোটি শনাক্ত করতে সক্ষম হন৷

আঙুলের হাড় ও আক্কেল দাঁত পাওয়া যায় দুই হাজার আট সালে সাইবেরিয়ার ডেনিসোভা গুহায়৷ জানা গেছে যে, প্রাপ্ত এই আঙুলের হাড় ও আক্কেল দাঁত হল হোমিনিড প্রজাতির এক মেয়ের৷ নিয়ানডারথালদের মত ডেনিসোভানরা অবশ্য আধুনিক ইউরোএশীয়দের জিন কাঠামোয় কোনঅবদান রাখে নি৷ তবে পাপুয়া নিউগিনি ও অস্ট্রেলিয়ার উত্তর পূর্বাঞ্চলের দ্বীপপুঞ্জের অধিবাসীদের ডিএনএ'র বিশ ভাগের এক ভাগের সঙ্গে এদের ডিএনএ'র মিল আছে বলে উল্লেখ করা হচ্ছে৷ এতে এটাই মনে হয় যে, ডেনিসোভান ও মেলানেসিয়ানদের পূর্বপুরুষদের সঙ্কর প্রজনন ঘটেছিল৷ ব্রিটিশ সাময়িকী ‘নেচার'এ গবেষকরা এই তথ্য দিয়েছেন৷

04.04.2008 DW-TV Projekt Zukunft Knochen
খুটিয়ে খুটিয়ে দেখা হচ্ছে হাড়, দাঁতছবি: DW-TV

গবেষণালব্ধ প্রতিবেদনের সহপ্রণেতা হলেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস্কিন ইঞ্জিনিয়ারিং স্কুলের বাইওমোলেকুলার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক৷ গবেষণাটি চালাচ্ছেন একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা গোষ্ঠী - যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন জার্মানির লাইপসিগ শহরের মাক্স-প্লাঙ্ক ইন্সটিটিউট এর এভোলিউশনারি আ্যানথ্রোপোলজির সাভান্টে পাবো৷ গবেষকদের বিশ্বাস, নিয়ানডারথাল ও ডেনিসোভানরা আফ্রিকা ছেড়ে চলে যায় প্রায় পাঁচ লাখ বছর আগে৷ নিয়ানডারথালরা মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে থিতু হয় এবং ডেনিসোভানরা পাড়ি জমায় পূর্ব দিকে৷ প্রায় ৫০ হাজার বছর আগে তারা যখন এশিয়ার দক্ষিণ উপকূলের দিকে সরে যেতে থাকে তখন অন্য মানবদের সঙ্গে তাদের প্রজনন ঘটেছিল ৷ হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের জিন বিশেষজ্ঞ ডেভিড রিচ বলেন, ডেনিসোভানরা সম্ভবত এশিয়ায় এসেছে সাইবেরিয়া থেকে৷

বিজ্ঞানীরা বিগত বহু বছর ধরে এই অনুমানই করে এসেছেন যে, বিভিন্ন মানব প্রজাতি বসবাস করেছে দশ লাখ বছর ধরে৷ বৃহস্পতিবারের গবেষণা সমীক্ষা থেকে এই প্রমাণই পাওয়া গেল যে, আধুনিক আদলের আরও প্রজাতি হয়ত ছিল৷ তবে তাদের আবিষ্কার করা বাকি আছে৷

প্রতিবেদন: আবদুস সাত্তার

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক