আজম খান এর গান রয়েছে বাঙালির শিকড়ে
৪ জুন ২০১১মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী কয়েক দশক তরুণদের বিনোদনের মূল খোরাক ছিল আজম খানের পপ সংগীত৷ সাধে কি আর তিনি বাঙালির ‘‘পপগুরু''৷ তবে, এই পপগুরু নামটা কিন্তু আবার বিশেষ পছন্দ নয় আজম খানের৷ এইতো দিনকয়েক আগে এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, গুরু কেন, সোজা আজম ভাই ডাকতে সমস্যা কোথায়৷ তিনি যাই বলুক, মানুষের মনের কোঠায় তিনি পপগুরু বা পপসম্রাট হিসেবেই জায়গা করে নিয়েছেন৷
সেই আজম খান, গত কয়েকমাস ধরেই সংবাদ শিরোনামে৷ গত বছর তাঁর মুখগহ্বরে ক্যান্সার ধরা পড়ে৷ চিকিৎসার জন্য তাঁকে একাধিকবার নিয়ে যাওয়া হয় সিংগাপুরে৷ সর্বশেষ গত ডিসেম্বরে কয়েকটি থেরাপি বাদ রেখেই দেশে ফিরে আসেন পপগুরু৷
বর্তমানে আজম খানের অবস্থা সঙ্কটজনক৷ গত ২২ মে বাম হাতে প্রচণ্ড ব্যথা নিয়ে তিনি ভর্তি হন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে৷ সেখানে থেকে বৃহস্পতিবার তাঁকে স্থানান্তর করা হয় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে৷ তাঁর শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে৷ সর্বশেষ শুক্রবার আজম খান এর ডাক্তাররা জানিয়েছেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যাচ্ছে৷
আজম খান এর মেয়ে ইমা খান শুক্রবার জানিয়েছেন, আজম খানের রক্তে আবারও হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ দ্রুত কমে যাচ্ছে৷ শুক্রবার গভীর রাতে তাঁকে দুই ব্যাগ রক্তও দেওয়া হয়েছে৷ বর্তমান তিনি সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন৷
পপসম্রাট আজম খান বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন৷ একাত্তরে মাত্র ২১ বছর বয়সে যুদ্ধে অংশ নেন তিনি৷ সেসময় তাঁর গান সহযোদ্ধাদের প্রেরণা যুগিয়েছে৷ এছাড়া ঢাকায় গেরিলা অভিযানের অন্যতম নায়ক ছিলেন আজম খান৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী