জার্মান পর্যটকদের ফিরিয়ে আনতে জরুরি উদ্যোগ
১৭ মার্চ ২০২০বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা ভাইরাসকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করছে৷ ভাইরাসের বিস্তার রোধে একের পর এক দেশ সীমান্ত বন্ধ দিচ্ছে৷ হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে৷
এদিকে, জার্মানি এখন করোনা ভাইরাসের ‘উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে৷ দেশটির সরকারের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান রবার্ট কখ ইনস্টিটিউট মঙ্গলবার ঝুঁকির নতুন এই মাত্রা নির্ধারণ করেছে৷ দুই বছর পর্যন্ত মহামারী পরিস্থিতি বিরাজ করবে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি৷ জার্মানিতে বর্তমানে সাত হাজার মানুষ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস দেশের বর্তমান পরিস্থিতকে ‘স্নায়ু যুদ্ধে’ সময়ের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷
তিনি বলেন, ‘‘জরুরি এ প্রকল্পের জন্য সরকার পাঁচ কোটি ইউরোর তহবিল ঘোষণা করেছে৷ এই প্রকল্পের মূল লক্ষ্য নানা দেশে আটকে পড়া পর্যটকদের ফিরিয়ে আনা৷’’
তিনি পর্যটকদের ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে আরো বলেন, ‘'আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সবাইকে ফেরাতে পারবো না৷ তাই তাদের অপেক্ষা করা উচিত৷’’
মূলত মরক্কো, ডমিনিকান রিপাবলিক, ফিলিপাইন, মালদ্বীপ ও মিশরে কয়েক হাজার জার্মান পর্যটক আটকা পড়ে আছেন৷ বিশেষ ফ্লাইটে তাদের দেশে আনতে সরকার এয়ারলাইনগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে৷
জার্মানির লুফথানসা এবং ইউরোউইংস বিশেষ ফ্লাইটে ক্যারিবিয়ান ও ক্যানারি আইল্যান্ড থেকে প্রায় সাড় ছয় হাজার জার্মান পর্যটককে ফিরিয়ে আনতে চায়৷
করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া আটকাতে মরক্কো সরকার অনেকটা আচমকাই তাদের আকাশ ও সমুদ্র সীমান্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে৷ গত ১৫ মার্চ থেকে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে৷ ফলে হাজার হাজার পর্যটক দেশটিতে আটকা পড়েছেন৷ যাদের মধ্যে চার থেকে পাঁচ হাজার জার্মান পর্যটক৷
জার্মান পর্যটকদের সাধারণ নিয়মই দেশে ফিরিয়ে আনা হবে৷ তাদের কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে কিনা সে বিষয়ে এখনো কিছু জানানো হয়নি৷
জার্মানির চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল সোমবার দেশের সব নাগরিককে দেশে বা বিদেশে ছুটি কাটানোর সব পরিকল্পনা বাতিল করে ঘরের ভেতর থাকার এবং জনসমাগম এড়িয়ে চলার আহ্বান জানিয়েছেন৷
জার্মানির মত তুরস্ক সরকারও ইউরোপের নয়টি দেশে আটকা পড়া সাড়ে তিন হাজারের বেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে৷ টার্কিশ এয়ারলাইন্সের ৩০টির বেশি বিশেষ ফ্লাইটে করে তাদের মঙ্গলবার দেশে নেওয়ার কথা৷ দেশে ফেরা সবাইকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে৷
এসএনএল/কেএম