আত্মঘাতী হামলা ও পণবন্দি-হত্যা
১ সেপ্টেম্বর ২০০৪�া বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন৷
বেশ কিছু কাল পর ইস্রায়েলে আবার আত্মঘাতী হামলা ঘটেছে৷ মঙ্গলবার দেশের দক্ষিণে বের-শেভা শহরে দুটি বাসের মধ্যে ফিলিস্তিনি উগ্রবাদী গোষ্ঠি হামাস-এর আত্মঘাতী আততায়ীরা এই হামলা চালায়৷ এই হামলায় কমপক্ষে ১৬ জন নিহত ও প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছে৷ হামাস-এর দুই নেতা - শেখ আহমেদ ইয়াসিন ও তাঁর উত্তরসুরি আবদেল আজ়িজ় আল রানতিসির হত্যার প্রতিশোধ নিতেই গতকালের এই হামলা চালানো হয়েছে বলে ঐ গোষ্ঠি দাবি করেছে৷ ইতিমধ্যে জানা গেছে, যে দুই হামলাকারী হেব্রন শহরের - তাই অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ি ইস্রায়েলী সেনাবাহিনী ঐ শহরের উপর পাল্টা হামলা চালাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট ইয়াসের আরাফাত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ফিলিস্তিনি স্বার্থেই অসামরিক ব্যক্তিদের উপর সব রকম হামলা বন্ধ করা উচিত, যাতে ইস্রায়েল ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের কোনো অজুহাত না পায়৷
আত্মঘাতী হামলার শিকার হয়েছে রাশিয়াও৷ মাত্র এক সপ্তাহ আগে দুটি রুশ বিমানে হামলার ৯০ জনের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার মস্কোর এক পাতাল-রেল স্টেশনের সামনে এক আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত ও ৩০ জনেরও বেশী আহত হয়েছে৷ ইসলামী উগ্রবাদীরা তাদের ওয়েবসাইটে দুটি হামলারই দায় স্বীকার করেছে৷ চেচনিয়ার সঙ্কটের প্রতি নজর আকর্ষণ করতেই রাশিয়ায় বার বার সন্ত্রাসী হামলা ঘটছে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে৷ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই আত্মঘাতী হামলাকারীরা ছিলো চেচেন নারী৷ মঙ্গলবার কৃষ্ণ সাগরের উপকূলে সোচি শহরে দুই দিন ব্যাপী ত্রিপাক্ষিক শীর্ষ বৈঠকের শেষে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিন চেচনিয়া সঙ্কটের সমাধানের লক্ষ্যে নীতিগতভাবে আলোচনাকেই একমাত্র পথ হিসেবে মেনে দিয়েছেন৷ ঐ বৈঠকে জার্মান চ্যান্সেলার গেয়ারহার্ড শ্র্যোডার ও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাক শিরাক চেচনিয়ায় রাজনৈতিক সমাধানের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন৷
জার্মানি, ফ্রান্স ও রাশিয়ার শীর্ষ নেতারা একযোগে ইরাকে স্থিতিশীলতা আনার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়েছেন৷ ইরাকের পরিস্থিতির উন্নতি নিশ্চিত করতে তাঁরা যে কোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত৷ এদিকে ইরাকে অপহরণকারীদের দৌরাত্ম বেড়েই চলেছে৷ আনসার আল সুন্না নামের এক গোষ্ঠি মঙ্গলবার ১২ জন নেপালী পণবন্দীকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে এবং সেই হত্যার দৃশ্য তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে৷ সাধারণ রাঁধুনি বা অন্যান্য কাজে নিয়োজিত এই নেপালিরা মার্কিন বাহিনীর সহায়তা করছিলো বলে আনসার আল সুন্না-র অভিযোগ৷ অন্যদিকে ইরাকে অপহৃত দুই ফরাসি সাংবাদিকের অবস্থা সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায় নি৷ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অপহরণকারীদের দাবি মানার দ্বিতীয় সময়সীমাও শেষ হয়ে গেছে৷ তবে আরব লীগ -এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সময়সীমা আজ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে৷ ফ্রান্স তাদের মুক্তির জোরালো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে৷ অপহরণকারীরা হুমকি দিয়েছে, ফ্রান্সের স্কুলগুলিতে হিজাব নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে তারা ঐ সাংবাদিকদের হত্যা করবে৷ ফ্রান্স অবশ্য এই দাবি নাকচ করে দিয়েছে৷ ফ্রান্সের মুসলিম সমাজ থেকে শুরু করে আরব লীগ , ফিলিস্তিনি গোষ্ঠি হামাস ও ইরাকের মুসলিম নেতারাও বিনা শর্তে ফরাসি সাংবাদিকদের মুক্তির ডাক দিয়েছে৷ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট জাক শিরাক সোচি থেকে বলেছেন, সাংবাদিকদের মুক্তির জন্য সবরকম চেষ্টা চালানো হবে৷