1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আত্মহননের প্রবণতা

গুডরুন হাইসে/আরবি২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৪

বিশ্বব্যাপী প্রতি ৪০ সেকেন্ডে আত্মহত্যা করে একজন মানুষ মারা যায়৷ অর্থাৎ প্রতিদিন ২০০০-এর বেশি মানুষ আত্মহনন করে৷ এটা প্রতিরোধ করা কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন বিশেষজ্ঞরা৷

https://p.dw.com/p/1DLb6
ছবি: picture-alliance/dpa

আত্মহত্যা সমাজে এখনও এক নিষিদ্ধ বিষয়৷ বন্ধুবান্ধব বা আত্নীয়স্বজন আত্মহত্যা করলে বিষয়টি অনেকের কাছে অস্বস্তিকর মনে হয়৷ প্রশ্নটি কোনোভাবে পাশ কাটিয়ে যেতে চান তাঁরা৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, একেক দেশে আত্মহত্যার কারণও একেক রকম৷ ‘‘সাধারণত গ্রামাঞ্চলে দারিদ্রের কারণে, যেমন জীবিকার ভিত হারিয়ে গেলে কীটনাশক খেয়ে অনেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন৷'' বলেন ডাব্লিউএইচও-র ইউরোপীয় দপ্তর প্রধান মাথিস মুইয়েন৷

কীটনাশক

অত্যন্ত বিষাক্ত এই কীটনাশক কৃষিখেতে ব্যবহার করা হয়৷ বিষক্রিয়া হতে হতে কয়েকদিনও লেগে যায়৷ কিন্তু তা ঠেকানো আর সম্ভব হয় না৷

সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্টে জানা গিয়েছে যে, উত্তর কোরিয়ায় আত্মহত্যার হার সবচেয়ে বেশি৷ পূর্ব ইউরোপ তথা রাশিয়াতেও আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক৷ সাংস্কৃতিক, সামাজিক, ধর্মীয় ও অর্থনৈতিক কারণে এই পথ বেছে নেন অনেকে৷ অনেক দেশে আত্মহত্যা বেআইনি৷

ডাব্লিউএইচও-এর রিপোর্টে বলা হয় বিভিন্ন দেশের সরকার উদ্যোগ নিলে আত্মহত্যার হার হ্রাস করা যায়৷

Infografik Selbstmordraten 2012 weltweit Englisch
আত্মহত্যা সম্পর্কে ২০১২ সালের পরিসংখ্যান

পুরুষদের সংখ্যা বেশি

জার্মানিতে বেশিরভাগ আত্মহত্যাই সংঘটিত হয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে৷ ১০ হাজারের মধ্যে ৪,০০০ জনই এইভাবে আত্মহনন করেন৷ দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ওষুধ খেয়ে মৃত্যু বরণ করা৷ আর এরপরের স্থানে রয়েছে গাড়ি বা ট্রেনের নীচে চাপা পড়ে আত্মহত্যা করা৷ জার্মানিতে মেয়েদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার হার চারগুণ বেশি৷

১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সিদের মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণই হলো আত্মহত্যা, মাদকসেবনের কারণে ও সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হারের চেয়েও বেশি৷

প্রবীণদের ক্ষেত্রে পরিস্থিতি আরো মারাত্মক৷ তাদের অনেকেই শারীরিক সমস্যার সাথে সাথে মানসিক অসুস্থতা ও ডিপ্রেশনেও ভোগেন৷ অনেকে নিঃসঙ্গ৷ তাই আত্মহত্যা ছাড়া আর গতি দেখেন না অনেকে৷

সচেতনতা বাড়ানো উচিত

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হলে প্রথমে বৃদ্ধি করতে হবে সচেতনতা৷ ভূক্তভোগীকে নিঃসঙ্গতা কাটাতে সাহায্য করতে হবে৷ ডিপ্রেশন যে অস্বাভাবিক কিছু নয় সেটা বুঝতে দিতে হবে৷ সাহায্য দেওয়া হতে পারে হটলাইনের মাধ্যমে৷ ট্রামে বাসে ও বিভিন্ন স্থানে প্ল্যাকার্ড লাগিয়ে মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যেতে পারে৷ বিশেষ করে চিকিত্সকদের সচেতনতা বাড়াতে হবে৷ লক্ষ্য করা গিয়েছে আত্মহত্যার আগে অনেকে সাহায্যের জন্য ডাক্তারের কাছে যান৷ কিন্তু তাদের মানসিক যন্ত্রণা সঠিকভাবে বুঝতে পারেন না অনেক চিকিত্সক৷ বলেন ডাব্লিউএইচও-এর মাথিস মুইয়েন৷

এছাড়া প্রেসক্রিপশন ছাড়া ওষুধ বিক্রির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করতে হবে৷ উঁচু দালানকোঠায় গ্রিল বা বেড়া দিয়ে ঘের দিলে আত্মহত্যা অনেকটা প্রতিরোধ করা যায়৷ এই মত বিশেষজ্ঞদের৷ দেখা গেছে, একবার সফল না হলে অনেকে আর আত্মহননের চেষ্টা করেন না৷ ধাক্কাটা সামলে ওঠেন৷

অন্যদিকে মিডিয়ারও এক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রয়েছে৷ তাদের এমনভাবে খবর প্রচার করা উচিত নয়, যাতে দুর্বলচিত্তের মানুষরা আত্মহত্যায় প্রণোদিত হয়৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য