আদালতের রায় পেলেও নিয়োগ না পাওয়া চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ
গত আগস্টে আপার প্রাইমারির ১৪ হাজার ৫২টি শূন্যপদে শিক্ষক নিয়োগ করার জন্য রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট৷ অথচ নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরুর কোনো উদ্যোগ নেই, হতাশা, ক্ষোভ নিয়ে নিয়োগবঞ্চিতরা আবার বিক্ষোভে...
নিয়োগ হয়নি
চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার আদালতে জানায়, এক সপ্তাহের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়া হবে। কিন্তু এখনো কিছুই করা হয়নি। আইনি বাধা নেই, আদালতের নিষেধ নেই, তা সত্ত্বেও কেন নিয়োগের ক্ষেত্রে দেরি হচ্ছে, এই প্রশ্ন তুলে বৃহস্পতিবার কলকাতায় বিক্ষোভ দেখালেন আপার প্রাইমারির চাকরিপ্রার্থীরা।
বিক্ষোভ মিছিল
চাকরিপ্রার্থীরা বিধাননগরের করুণাময়ী থেকে মিছিল করে পাঁচ নম্বর সেক্টরে স্কুল সার্ভিস কমিশনের দপ্তরের কাছে যান। তারা জানিয়েছেন, হাইকোর্ট বলেছিল, চার সপ্তাহের মধ্য়ে মেধা তালিকা প্রকাশ করতে হবে। পরের চার সপ্তাহে কাউন্সেলিং করতে হবে। কিন্তু সেই কাজ কিছুই হয়নি। গত ২৮ অগাস্ট হাইকোর্ট ওই রায় দেয়। তাদের দাবি, দুর্গাপুজোর আগে এই নিয়োগের কাজ শেষ করতে হবে।
১০ বছরের অপেক্ষা
কৃষ্ণনগরের অনিতা বিশ্বাস ডিডাব্লিউকে জানিয়েছেন, ''আমরা চাই ১০ বছরের অপেক্ষা শেষ হোক। আর কতদিন আমরা অপেক্ষা করব? আমরা এবার চাকরিতে যোগ দিতে চাই।''
চাকরিবঞ্চিতদের পরিবারের দুর্ভোগ
বহরমপুরের সোমা মণ্ডল ডিডাব্লিউকে বলেছেন, তিনি অসুস্থ শ্বশুর, শাশুড়িকে বাড়িতে রেখে এসেছেন। তারা সকলেই এখন কাজ পাওয়ার আশায় দিন গুনছেন।
বড় অভিযোগ
চাকরিপ্রার্থীরা জানিয়েছেন, তারা মনে করছেন, রাজ্য সরকার দ্রুততার সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করছে না। তারা আর কোনোরকম দেরি সহ্য করতে রাজি নন। সেজন্যই তারা চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
পুলিশের বাধা
রাজ্য স্কুল সার্ভিস কমিশনের কাছে পুলিশ ব্যারিকেড করে রাস্তা বন্ধ করে রাখে। প্রচুর পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়। তারা জানিয়ে দেন, বিক্ষোভকারীদের এখানেই আটকানো হবে। তাদের স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে দেয়া হবে না।
রাস্তায় বসে বিক্ষোভ
পুলিশ তাদের আটকাবার পরেই বিক্ষোভকারীরা রাস্তায় বসে পড়েন। সেখানেই তারা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। তবে জুনিয়র ডাক্তারদের মতো তারা সারারাত বিক্ষোভ দেখাননি। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ দেখিয়ে তারা চলে যান।
কী অভিযোগ ছিল
আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে প্রচুর অভিযোগ ছিল। আবেদন না করা সত্ত্বেও প্রার্থীদের ইন্টারভিউতে ডাকার অভিয়োগ ছিল। টেট পরীক্ষার নম্বর বাড়িয়ে ইন্টারভিউতে ডাকার অভিযোগও ওঠে। তখন যে তালিকা প্রকাশ করা হয়, তাতে কে কত নম্বর পেয়েছেন, সেটাও জানানো হয়নি। এর বিরুদ্ধেই হাইকোর্টে মামলা করা হয়।