আদৌ চিন্তিত নয় তৃণমূল
১৯ অক্টোবর ২০২০পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচিত সরকারকে বরখাস্ত করে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করার দাবি তুলেছেন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব৷ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিকে জেতানোর দায়িত্ব পাওয়া অমিত শাহ পরোক্ষে সেই দাবিকে সমর্থনও জানিয়েছেন৷ এক বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাহ বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে রাজ্য বিজেপি রাষ্ট্রপতির শাসন চাইতেই পারে৷ রাজ্যে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের হার বেড়ে যাওয়ার কথাও বলেন শাহ৷ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস অমিত শাহ–র ওই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছে, রাজনৈতিক সন্ত্রাসের প্রশ্নে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরং উত্তরপ্রদেশের দিকে দেখতে পারেন৷ বা শাহর নিজের রাজ্য গুজরাটের দিকে৷ তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি টুইটারে কটাক্ষ করেছেন, ‘‘বোমা তৈরির কারখানা সম্বন্ধে এত তথ্য আছে অমিত শাহ–র কাছে, কিন্তু ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের ব্যাপারে কোনও খবর সরকার রাখে না!’’ যেহেতু পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে বোমা তৈরির কারখানা নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ৷ কিন্তু তাঁদের সরকার সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের হাতে নেই৷
তৃণমূল নেতা এবং সাংসদ সৌগত রায় যদিও মনে করছেন, পশ্চিমবঙ্গে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি নিয়ে বরং খুব সাবধানী মন্তব্য করেছেন অমিত শাহ৷ তিনি কখনোই বলেননি যে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি অনুযায়ী সেখানে রাষ্ট্রপতির শাসন জারি হবে, বা হতে পারে৷ শুধু এটুকুই বলেছেন, যে রাজ্যের বিজেপি নেতারা রাষ্ট্রপতির শাসনের দাবি তুলতেই পারেন৷ সৌগত রায়ের বক্তব্য, ‘‘উনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে যা পরিস্থিতি তাতে লোকে রাষ্ট্রপতির শাসন চাইতেই পারে৷ কিন্তু রাষ্ট্রপতির শাসন সব বিচার–বিবেচনা করে, সংবিধান অনুযায়ী হবে৷ একবারও বলেননি, রাষ্ট্রপতির শাসন হবে৷ রাষ্ট্রপতির শাসন জারি করা যায়, এই কথাটা উনি খুব সতর্কতার সঙ্গে বলেছেন, আমাদেরও সতর্ক হওয়া উচিত৷’’
অমিত শাহ আগের দিন খুব জোরের সঙ্গে বলেছেন, পরের বিধানসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি ক্ষমতায় আসছে৷ সৌগত রায়ের নিরুদ্বেগ প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমরাও বলছি, আসছে না৷ গত লোকসভা ভোটেও তো ওরা বলেছিল ২৪টা আসন পাবে৷ সেই হিসেব তো মেলেনি!’’