আফগানিস্তান থেকে সেনা সরাবে ন্যাটোও
১৫ এপ্রিল ২০২১অ্যামেরিকার পথেই চলবে ন্যাটো। বুধবারই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জানিয়েছিলেন, প্রায় দুই দশক ধরে আফগানিস্তানে থাকার পর ১১ সেপ্টেম্বর মার্কিন সেনা দেশে ফিরবে। সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু হবে ১ মে থেকে। এরপর ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল স্টলটেনবার্গ জানিয়ে দেন, ন্যাটোর দেশগুলিও ১ মে থেকে পর্যায়ক্রমে সেনা সরিয়ে নেবে।
তবে তারা জানিয়ে দিয়েছে, প্রত্যাহার করার সময় তালেবান যদি আক্রমণ করে, তবে তাদের উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে। ন্যাটো জানিয়েছে, আফগানিস্তানকে নতুন পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। ন্যাটোকে ধন্যবাদ দিয়ে অ্যামেরিকা জানিয়েছে, তারা কখনোই ন্যাটোর দেশগুলির এই সহযোগিতা ও পাশে থাকার কথা ভুলবে না।
বাইডেন-ম্যার্কেল কথা
বুধবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং জার্মান চ্যান্সেলার ম্যার্কেলের মধ্যে ফোনে কথা হয়। তারা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার নিয়ে কথা বলেন। বাইডেন ও ম্যার্কেল খোলাখুলি তাদের মত জানিয়েছেন।
জার্মানির সরকারি মুখপাত্র জানিয়েছেন, দুই নেতা সহযোগিতার ভিত্তিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বাইডেনের বক্তব্য
বাইডেন বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার করা নিয়ে কোনো তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে না। অ্যামেরিকার দীর্ঘতম যুদ্ধ শেষ করার সময় এসেছে।
ডিডাব্লিউর ওয়াশিংটনের ব্যুরো চিফের মতে, এটা একটা ঐতিহাসিক মুহূর্ত। পররাষ্ট্র নীতির বিষয়ে বাইডেনের সব চেয়ে বড় সিদ্ধান্ত। মনে রাখতে হবে, গত ২০ বছর ধরে আফগানিস্তানে লড়াই চলছে।
রাশিয়ার সমালোচনা
রাশিয়া অবশ্য বাইডেনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে। তাদের মতে, বাইডেনের উচিত ছিল চুক্তি মেনে চলা এবং ১ মে-র মধ্যে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া। কিন্তু বাইডেন তা করেননি বলে রাশিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
আর আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তারা মার্কিন সিদ্ধান্তকে শ্রদ্ধার চোখে দেখছেন। ভবিষ্যতেও অ্যামেরিকার সঙ্গে খুব ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে আফগানিস্তান।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স, ডিপিএ)