1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আফগানিস্তানে দুই জার্মান সৈন্য ও এক ব্রিটিশ সাহায্যকর্মী নিহত

হাফসা হোসাইন২০ অক্টোবর ২০০৮

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একজন ব্রিটিশ নারী সাহায্যকর্মীকে গুলি করে হত্যা করেছে বন্দুকধারীরা৷ সোমবার সকালে কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে এই হত্যাকান্ড ঘটে৷ তালেবান জঙ্গিরা এর দায় স্বীকার করেছে৷

https://p.dw.com/p/Fdhn
ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আইসাফ বাহিনীতে কাজ করছে জার্মান সৈনিকরাছবি: AP

এদিকে, আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে কুন্দুজ প্রদেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত হয়েছে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আইসাফ বাহিনীর দুই জার্মান সৈন্য ও ৫ শিশু৷ কুন্দুজ প্রদেশের গভর্নর এই তথ্য দিয়েছেন৷

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ৩৪ বছর বয়সী গেলি উইলিয়ামস সকালে হেঁটে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় তাঁকে অনুসরণ করে মোটর সাইকেল আরোহী দুই ব্যক্তি৷ এক পর্যায়ে একজন মোটর সাইকেল থেকে নেমে গেলিকে খুব কাছে থেকে গুলি করে৷ এরপর দুজনেই দ্রুত পালিয়ে যায়৷ আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গেলির পা ও গায়ে কয়েকটি বুলেট বিদ্ধ হয়, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর৷ তবে এই হত্যাকান্ডের উদ্দেশ্য কি এবং কারা এর পেছনে থাকতে পারে সে ব্যাপারে কিছু জানায় নি আফগান কর্তৃপক্ষ৷

আফগান প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্রিটিশ চ্যারিটি সংস্থা সার্ভ আফগানিস্তানে কাজ করতেন গেলি৷ সংস্থাটি সন্ত্রাসী হামলায় তাদের কর্মীর মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেছে৷ কাবুলে ব্রিটিশ দূতাবাসও জানিয়েছে, গেলি উইলিয়ামস একজন ব্রিটিশ৷ তবে এর আগে পুলিশ ও আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিলো গেলি দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিক৷ কোন কোন সূত্র বলছে, নিহত সাহায্য কর্মী দুই দেশেরই দ্বৈত নাগরিক ছিলেন৷

এদিকে, একজন তালেবান মুখপাত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে ফোন করে গেলি-হত্যাকান্ডের দায়িত্ব স্বীকার করেছে৷ বলেছে, আফগানিস্তানে খ্রিস্টধর্ম প্রচারকারী সংস্থার জন্য কাজ করার অপরাধে তাকে হত্যা করা হয়েছে৷

সম্প্রতি আফগানিস্তানে বিদেশিদের উপর জঙ্গি হামলার মাত্রা বেড়েছে৷ আফগানিস্তান এনজিও সেফটি অফিসের এক রিপোর্টে দেখা গেছে, এ বছরের সেপ্টেম্বর নাগাদ দেশটির এনজিও কর্মীদের উপর ১৪৬ টি হামলার ঘটনা ঘটেছে৷ যার মধ্যে হত্যাকান্ড ঘটেছে ২৮টি৷ নিহতদের ৫ জন আবার বিদেশি সাহায্য কর্মী৷ অপহরণ করা হয়েছে ৭২ জন এনজিও কর্মীকে৷

এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা হয় আগস্টে৷ সাহায্য সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির ৩ মহিলা কর্মীকে তাদের গাড়ির ড্রাইভারই গুলি করে হত্যা করে৷ নিহতদের একজন ব্রিটিশ, একজন কানাডীয় এবং আরেকজন মার্কিন ও ত্রিনিদাদের নাগরিক৷ ওই হত্যাকান্ডেরও দায়িত্ব স্বীকার করে তালেবান জঙ্গিরা৷ জানায়, ওই তিন সাহায্য কর্মী গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছিলেন৷ আগস্টের ওই হামলার পর আফগানিস্তানে কার্যক্রম স্থগিত করে দেয় ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটি৷