আফগানিস্তানের জন্য ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ!
২১ নভেম্বর ২০১৪পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং সেনাপ্রধান পারভেজ মুশাররফ সম্প্রতি সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘পাকিস্তানের জন্য বিপদের কথা হলো, আফগানিস্তানের ওপর ভারতের প্রভাব রয়েছে৷ তাই তারা আফগানদের মধ্যে পাকিস্তানবিরোধী ভাবমূর্তি গড়ে তুলবে৷''
অন্যদিকে এ মাসেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা সরতাজ আজিজ বিবিসি-কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘‘যেসব জঙ্গি দেশের জন্য হুমকি নয়, তাদের টার্গেট করে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করার কোনো মানে নেই৷ যুক্তরাষ্ট্রের জন্য যারা শত্রু, তাদের আমাদের শত্রু বানাতে হবে কেন?'' উল্লেখ্য, এ কথা বলার সময় হাক্কানি নেটওয়ার্কের উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি৷
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘‘পাকিস্তান-আফগানিস্তান সম্পর্কে কোনো নতুন মোড় আসেনি৷ পাকিস্তানের রাজনীতিতে তালেবান অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে ভূমিকা পালন করছে৷ আফগানিস্তান থেকে যৌথ-বাহিনী চলে যাওয়ার পর সেখানকার অবস্থা একই রকম হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
লন্ডনভিত্তিত সাংবাদিক ও গবেষক ফারুক সুলেহরিয়া ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘বর্তমানে দিল্লির সাথে কাবুলের খুব ভালো সম্পর্ক৷ অন্যদিকে ইসলামাবাদ আফগান তালেবানদের সহায়তা করছে, সরতাজ আজিজ যা প্রকাশ্যেই বলেছেন৷ তাই পাকিস্তান যে আফগানিস্তানকে তাদের রাজনৈতিক ক্রীড়াক্ষেত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে তার আর বলার অপেক্ষা রাখে না৷''
হাইডেলব্যার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ সিগফ্রিড ও ভল্ফ ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, ‘‘বিভিন্ন তথ্য থেকে আমি এটা বুঝতে পেরেছি যে, আফগানিস্তান থেকে ভারতের আধিপত্য কেড়ে নিতে তালেবানকে একটা ‘টুল' বা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে পাকিস্তান৷''
এ বছরের প্রথমদিকে আফগানিস্তানে ত্রাণ সহায়তা হিসেবে ২০০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থ সাহায্যের ঘোষণা দেয় ভারত৷ ভারত এর আগে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য কোনো দেশকে দেয়নি৷ তবে কাবুল ও ওয়াশিংটনের মধ্যে যে দ্বিপাক্ষীয় নিরাপত্তা চুক্তি (বিএসএ) হয়েছে, তাতে পাকিস্তান বা ভারতের আফগানিস্তানকে অস্থিতিশীল করা কঠিন হবে৷