আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস আমলে নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন
১০ আগস্ট ২০২৩আবহাওয়া পূর্বাভাসে বৃষ্টির পরিমাণ, সময় ও স্থান উল্লেখ করতে পারেনি আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে যতটুকুই সতর্কবার্তা দিয়েছিলো, সেটি গুরুত্ব দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। খবর, দৈনিক সমকাল৷
সতর্কবার্তায় ভূমিধ্বসের কথা বলা হলেও বিপর্যয় এড়াতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থার থেকে পর্যাপ্ত আগাম ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের প্রাণহানি সহ বন্যা ও জলাবদ্ধতায় পার্বত্য চট্টগ্রামেরপাঁচ জেলায় ভেঙে গেছে অনেক আঞ্চলিক সড়ক, মহাসড়ক ও কালভার্ট। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ফসলি জমির।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। আবহাওয়া পূর্বাভাসের তথ্য উপাত্ত ও প্রেডিকশন মডেল সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে আরও সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেয়া যেতো বলে মনে করছেন তারা।
একই বিপর্যয়, ব্যবস্থাপনায় নেই কোন পরিবর্তন
সময়ের সাথে আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাস দেয়ার পদ্ধতির আধুনিকায়ন করতে সক্ষম হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তির এই সময়েও তাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। দিতে পারছে না বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কবার্তা। আগে থেকে সতর্কবার্তা না পাওয়ায় কারণে মানুষ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এছাড়া তাদের দেয়া সতর্কবার্তাতেও রয়েছে অনেক ত্রুটি যে কারণে মানুষের আস্থা থাকছে না পূর্বাভাসে।
সমন্বয়হীনতা ও প্রস্তুতির ঘাটতি
অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই ডুবে যাচ্ছে বড় শহরগুলো। তবে এই জলাবদ্ধতা নিরসনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে পূর্বাভাস স্থানীয় প্রশাসনে পাঠানো হলেও তারা তা গুরুত্ব সহকারে নেন না। উন্নত দেশগুলোতে নাগরিকরা আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেখে নগরজীবনে চলাচল করলেও বাংলাদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোই এই পূর্বাভাসকে অবহেলা করে।
দক্ষ জনবল সংকট
নির্ভুল পূর্বাভাস পেতে ২০১৬ সাল থেকে আবহাওয়া অধিদপ্তর তাদের ২২৫টি স্টেশন আধুনিকায়ন করেছে। তবে প্রশিক্ষিত প্রকৌশলী ও আবহাওয়াবিদের অভাবে কাঙ্ক্ষিত মানে এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানটিতে এক হাজার ৩৩৮ পদের বিপরীতে কর্মরত আছেন ৭০০ জন। ঢাকা ও রংপুরে ২০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকা ব্যায়ে স্থাপিত আধুনিক রাডার সিস্টেমও পর্যাপ্ত জনবলের অভাবে অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
তবে স্থানীয় প্রশাসনকেও জনসচেতনা বাড়াতে সক্রিয়ভাবে কাজ করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ।
এসএইচ/কেএম