আবার চ্যাম্পিয়ন হলো বায়ার্ন

এবার হুঙ্কার দিয়েই শুরু করেছিল বায়ার্ন মিউনিখ৷ মৌসুমের প্রথম সপ্তাহান্তে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল হামবুর্গকে৷ পাত্তাই পায়নি হামবুর্গ৷ টোমাস ম্যুলার দু’টি এবং রবার্ট লেভানডোস্কি, দিয়েগো কস্তা ও মেধি বেনাতিয়া একটি করে গোল করায় বড় জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছিল পেপ গুয়ার্দিওলার দল৷

২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫৷ বায়ার্ন-ভল্ফসবুর্গ ম্যাচ৷ শুরুতেই ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ল বায়ার্ন৷ ম্যাচটা হয়ত হেরেই বসত তারা৷ কিন্তু বদলি খেলোয়াড় হিসেবে নেমে ৯ মিনিটে একাই ৫ গোল করে দলকে অবিশ্বাস্য এক জয় এনে দেন লেভানডোস্কি৷ বেশ কিছু রেকর্ড হয় সেই ম্যাচে৷ কোনো বদলি খেলোয়াড়ের এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি গোল, দ্রুততম হ্যাটট্রিক, সব চেয়ে কম সময়ে চার ও পাঁচ গোলের রেকর্ডের পাশে নিজের নাম লেখান লেভানডোস্কি৷

আশা করা হয়েছিল এবারও বায়ার্ন-ডর্টমুন্ড ম্যাচটা খুব জমবে৷ কিন্তু রেয়াল-বার্সার মতো এ ম্যাচকেও মিডিয়া ‘ক্লাসিকো’ বললেও মাঠের লড়াইটা সেরকম কিছু হয়নি৷ ম্যুলার এবং লেভানডোস্কির জোড়া গোল আর মারিয়ো গোয়েৎসের এক গোলে এক কথায় বিধ্বস্তই হয় ডর্টমুন্ড৷ ডর্টমুন্ডের এমন হারে বায়ার্নের চতুর্থ শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়ে যায় আরো৷

মাঝে দু’মাসের মতো মাঠের বাইরে ছিলেন আরিয়েন রবেন৷ তাঁর অনুপস্থিতিতে বায়ার্নের মধ্যমাঠ এবং আক্রমণভাগকে কিছুটা নড়বড়ে মনে হয়েছিল৷ কিন্তু এফসি কোলনের বিপক্ষে আবার মাঠে ফিরে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করেন ডাচ ফরোয়ার্ড রবেন৷ সেই ম্যাচেই বুন্ডেসলিগায় নিজেদের ১০০০তম জয় পায় বায়ার্ন৷ জার্মানির আর কোনো ক্লাব বুন্ডেসলিগায় এত ম্যাচ জেতেনি৷

এ মৌসুমে বুন্ডেসলিগায় দু’বার হেরেছে বায়ার্ন, ড্র করেছে চারটি ম্যাচ৷ তাই ইঙ্গলস্টাডের সঙ্গে ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত বায়ার্ন সমর্থকদের মাঝে একটু উৎকণ্ঠা ছিল বৈকি৷ তবে ২-১ গোলে সেই ম্যাচ জিতে শেষ পর্যন্ত ঠিকই শিরোপা নিশ্চিত করে ফেলে জার্মান ফুটবল ইতিহাসের সফলতম ক্লাব৷ সাত পয়েন্টে পিছিয়ে থাকায় বায়ার্নকে টপকে বোরুসিয়া ডর্টমুন্ডের পক্ষে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই আর নেই৷