আবার বুন্ডেসলিগা কাঁপাল বায়ার্ন
২১ আগস্ট ২০১১রবেন যোগ রিবেরি, মিলে ‘রবারি'৷ কথাটা বায়ার্ন ফ্যানরাই উদ্ভাবন করেছে৷ অবশ্য রবেন এবং রিবেরি, দুজনেই নানা ইনজুরির মধ্যে দিয়ে গেছেন৷ সব মিলিয়ে গত মরশুমটা ছিল বায়ার্নের পক্ষে একটা বিভীষিকা - যে কারণে ওলন্দাজ কোচ লুইস ফ্যান গাল'কে বিদায় নিতে হয়৷ তার পরিবর্তে কোচ হিসেবে যিনি এলেন, তিনি জার্মান তথা ইউরোপীয় ফুটবলের প্রবীণতম এবং সবচেয়ে অভিজ্ঞ কোচদের মধ্যে পড়েন: ইয়ুপ হাইনকেস৷ হাইনকেস আসার পরেও যে বায়ার্নের চলতি সীজনটা শুরু হয় অতি খারাপভাবে, এ'তে সাধারণ ফুটবলমোদী থেকে শুরু করে ক্লাব কর্মকর্তা এবং খোদ খেলোয়াড়রাও বোধহয় কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিল৷
কিন্তু হাইনকেস তাঁর পেশাদারি জীবনে অনেক কিছু দেখেছেন, অনেক ওঠা-নামা, ওঠা-পড়া৷ বেচারা হামবুর্গ গত মরশুমেও বায়ার্নের কাছে হেরেছিল ৬-০ গোলে৷ এবারও তাদের সেই বায়ার্ন-ভীতির সুযোগ নিয়েই যেন হাইনকেস তাঁর নেকড়েদের পাঠালেন হামবুর্গের ডিফেন্স ছিন্নভিন্ন করতে৷ বিশেষ করে ডান দিক থেকে রবেন যেন হামবুর্গের ডিফেন্ডারদের এলোমেলো করে দিয়েছেন৷ একটি ফ্রি কিকের সময় রবেন যে বায়ার্ন ডিফেন্ডার ফ্যান বয়টেন'এর মাথাটাই বেছে নেন, সেটাও তো জিনিয়াস৷ আবার জেরোম বোয়াটেং'এর বদলে ফ্যান বয়টেন'কে নামানোটা হাইনকেসের চতুর সিদ্ধান্ত৷
যাই হোক, ফ্যান বয়টেনের হেডেই ১৩ মিনিটের মাথায় প্রথম গোল৷ চার মিনিট পরে রিবেরি থমাস ম্যুলারের একটি পাস ডান পা থেকে বাঁ পায়ে এনে ১০ মিটার দূর থেকে গোল করেন৷ তৃতীয় গোল: রবেন ডান দিক দিয়ে হামবুর্গের মার্সেল ইয়ানসেন এবং ডেনিস আওগো'র পাস কাটিয়ে সোজা নেমে গিয়ে চিপ করে তৃতীয় গোলটি করেন৷ দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিটের মাথায় মারিও গোমেজ'ও সীজনে তাঁর প্রথম গোলটি পেলেন৷ খেলা শেষ হবার ১০ মিনিট আগে বিকল্প খেলোয়াড় ইভিচা ওলিচ'এর গোলটাকে ফাউ বলা চলতে পারে৷
হাইনকেস বলেছেন, এটা এ'মরশুমে বায়ার্নের সেরা খেলা হলেও, টপ ফর্মে পৌঁছলে বায়ার্ন আরো দুর্দান্ত হবে৷ আর বায়ার্ন যে জুরিখের বিরুদ্ধে গত বুধবার চ্যাম্পিয়নস লীগ প্লে-অফের মতোই এবারেও নিজেদের গোলটা পরিষ্কারই রেখেছে, তা'তেও হাইনকেস খুব খুশী৷
প্রতিবেদন: অরুণ শঙ্কর চৌধুরী
সম্পাদনা: জাহিদুল হক