1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ভারত-পাকিস্তান শান্তি প্রক্রিয়া

অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুন দিল্লি১৭ জুলাই ২০১৩

পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ সরকার আসার পর, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ আবার সচল হবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছে৷পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত শাহরিয়ার খান প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ কথা জানিয়েছেন৷

https://p.dw.com/p/199Gz
FILE - In this July 17, 2006 file photo, Border Security Force soldiers patrol the India-Pakistan border at Kanachak, about 15 kilometers (9 miles) west of Jammu, India. Pakistan and India traded accusations Sunday, Jan. 6, 2013, of violating the cease-fire in the disputed northern region of Kashmir, with Islamabad accusing Indian troops of a cross-border raid that killed one of its soldiers and India charging that Pakistani shelling destroyed a home on its side. (Foto:Channi Anand, File/AP/dapd)
ছবি: dapd

এই সংলাপ প্রক্রিয়াকে ‘ফাস্ট-ট্র্যাক'-এ আনতে সম্মত হয়েছে উভয় দেশ৷ ২০০৮ সালে মুম্বই সন্ত্রাসী হামলা এবং হালে ভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের অস্ত্রবিরতি রেখায় এক ভারতীয় সেনার মুণ্ডচ্ছেদ করার ঘটনার পর থেকে দু'দেশের মধ্যে আস্থার ঘাটতি প্রকট হলে আলোচনা প্রক্রিয়া থেমে যায়৷

পাকিস্তানে নির্বাচনের আগে এবং পরে প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ভারতের সঙ্গে শান্তি সংলাপ আবার শুরু করার আগ্রহের কথা বলে এসেছেন৷ সেইমতো, ৬ই জুলাই তাঁর বিশেষ দূত হিসেবে নতুন দিল্লি আসেন শাহরিয়ার খান৷ প্রধানমন্ত্রীর ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে নওয়াজ শরিফের চিঠি দেন৷ পরে তিনি দেখা করেন পররাষ্ট্রসচিব জন মাথাই এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা শিবশঙ্কর মেননের সঙ্গে৷ এ বিষয়ে ভারতের মনোভাব তাঁকে জানানো হয়৷ পাকিস্তানের দিক থেকে উপযুক্ত সাড়া পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে ভারত৷

Nawaz Sharif, the leader of Pakistan Muslim League - Nawaz (PML-N) points as he speaks to foreign reporters at his residence in Lahore May 13, 2013. Sharif, who is poised for victory after Pakistan's May 11 election, said he had spoken at length with Prime Minister Manmohan Singh of rival India and would work to ease mistrust. REUTERS/Damir Sagolj (PAKISTAN - Tags: ELECTIONS POLITICS)
পাকিস্তানে নওয়াজ শরিফ সরকার আসার পর, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংলাপ আবার সচল হবার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়েছেছবি: Reuters

অবশ্য তার আগেই আগামী সেপ্টেম্বর মাসে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে দু'দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে সাক্ষাৎ হতে পারে৷ আসিয়ান আঞ্চলিক ফোরামে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সলমান খুরশিদের সঙ্গেও কথা হয় নওয়াজ শরিফের এই বিশেষ দূতের৷ এতে শান্তি প্রক্রিয়ায় রাজনৈতিক গতি আসবে এবং অর্থনৈতিক সহযোগিতায় পড়বে ইতিবাচক প্রভাব, বলছেন বিশেষজ্ঞরা৷ আট-দফা সার্বিক শান্তি সংলাপের মধ্যে আছে সন্ত্রাস, জম্মু-কাশ্মীর, সিয়াচেন এবং অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক ইস্যু৷

ওদিকে, টি.সি.এ. রাঘবনকে নতুন হাইকমিশনার করে পাঠানো হয়েছে পাকিস্তানে৷ পাকিস্তানের নতুন রাজনৈতিক আবহে যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে দু'দেশকে, সেই চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন রোডম্যাপ তৈরি করাই হবে তাঁর প্রধান কাজ৷ নিতে হবে অনুকূল পরিবেশের জন্য আস্থা বাড়ানোর নতুন পদক্ষেপও৷ যেমন, ভারতকে সবথেকে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের মর্যাদা বা এমএফএন মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করা, ভিসা ব্যবস্থা শিথিল করা ইত্যাদি৷

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, পাকিস্তানের আর্থিক প্রতিকূলতার প্রেক্ষিতে ভারতের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারিত করা যেমন জরুরি, তেমনি সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণে পাকিস্তানের বিশ্বাসযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা ততটাই জরুরি ভারতের কাছে৷ বিদেশি কূটনীতিকদের আশঙ্কা, আফগানিস্তানকে কেন্দ্র করে আবার হয়ত উত্তপ্ত হতে পারে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক৷ সে বিষয়ে উভয় দেশকে থাকতে হবে সতর্ক, নাহলে আবারো ভেস্তে যেতে পারে শান্তি সংলাপ৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য