আমিরাত সফরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী
১৩ ডিসেম্বর ২০২১রোববার আমিরাত পৌঁছান বেনেট। আবু ধাবিতে পা রাখার পর তিনি বলেন, এই সফর ঐতিহাসিক। এই প্রথমবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী আমিরাতে আনুষ্ঠানিক সফরে এলেন।
তাঁকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বেনেট বলেন, তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। তিনি জানান, ''আমি আমিরাত আসতে পেরে খুবই উত্তেজিত এবং আনন্দিত। এই প্রথম ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী এখানে এলেন। আমরা দুই দেশের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করতে চাই।''
সোমবার থেকে সরকারি পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে আর্থিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো ভালো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তেল আভিভ ছাড়া আগে বেনেট বলেন. তার সফরের লক্ষ্য, দুই দেশের মধ্যে সব ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো। তার দাবি, এখন দুই দেশের মধ্যে যে সম্পর্ক আছে, তা খুবই ভালো। সেই সম্পর্ককে আরো জোরালো ও উষ্ণ করতে হবে।
এক বছর আগে
এক বছর আগেই ইসরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করার জন্য চুক্তি সই করে। এর অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এরপর বাহরিন, সুদান, মরক্কোর মতো দেশের সঙ্গেও ইসরায়েলের কূটনৈতিক সম্পর্ক শুরু করা নিয়ে চুক্তি হয়।
বেনেট বলেছেন, ''এক বছরের মধ্যে আমরা অনেক দূর এগিয়েছি। তবে দুই দেশের সম্পর্ক সবে শুরু হয়েছে। এটা অনেকটা দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার যাবতীয় সম্ভাবনা রয়েছে।''
ইরান নিয়ে উদ্বেগ
ইরানের সঙ্গে এখন পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে জর্মানি, চীন, অ্যামেরিকা সহ কয়েকটি দেশ। ইরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ইসরায়েল ও আমিরাত উদ্বিগ্ন। ইসরায়েল ও আমিরাত কূটনৈৌতিক সম্পর্ক শুরু করে নেয়ায় ইরানও উদ্বিগ্ন। ইরান বলছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহার করার জন্য। সম্প্রতি ইসরায়েল বেশ কয়েকবার হুমকি দিয়ে বলেছে, যদি কূটনৈতিক প্রয়াসের ফলে ইরান আবার পরমাণু চুক্তিতে ফেরে তাহলে ঠিক আছে, নইলে তারা সামরিক ব্যবস্থা নেবে।
গত সোমবার জাতীয় সুরক্ষা পরামর্শদাতা বা এনএসএ-কে তেহরান পাঠিয়েছিল আমিরাত। তিনি সেখানে ইরানের প্রেসিডেন্ট এবং এনএসএ-র সঙ্গে কথা বলছেন।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)