ইউরো সংকটের প্রভাব
৮ জুন ২০১৩দেশের জন্য ত্যাগ স্বীকারের মানসিকতা অনেকেরই থাকে না৷ মুখে যে যা-ই বলুন, সমাজের সব অন্যায়-অনাচারের যত সমালোচনাই করুন, অবস্থার উন্নতির জন্য নিজের ভূমিকার প্রশ্ন এলে সবাই যেন নিরব-নিষ্ক্রিয়৷ ফ্রান্সে এ মুহূর্তের বাস্তবতাটা ভিন্ন৷ একটি জরিপের ফলাফল অন্তত সেরকমই বলছে৷ জরিপটি পরিচালনা করেছে বিভিএ নামের একটি সংস্থা৷ এক হাজার জনের কাছে টেলিফোন এবং ইন্টারনেটে ফ্রান্সের বর্তমান অর্থনৈতিক সংকট এবং তা থেকে উত্তরণের উপায় সম্পর্কিত বিভিন্ন প্রশ্ন রেখেছিল তারা৷ জরিপে অংশ নেয়া প্রায় সবাই জানিয়েছেন, দেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তাঁরা অসন্তুষ্ট৷ বিশেষ উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, শতকরা ৬৭ ভাগ মানুষই বলেছেন যে দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার জন্য সরকার যদি সাহসী কোনো পদক্ষেপ নেয়, সেই উদ্যোগকে সফল করতে প্রত্যেকে ব্যক্তিগতভাবে ত্যাগ স্বীকার করতেও প্রস্তুত৷
কিন্তু ফ্রঁসোয়া ওলঁদের সরকার কি তেমন কিছুর ইঙ্গিত এখনো দিতে পেরেছে? না, তা পারেনি বলেই সম্প্রতি ইউরোপীয় কমিশন অর্থনৈতিক সংস্কারে আরো উদ্যোগী হবার অনুরোধ জানিয়েছে ফ্রান্সকে৷ মুশকিল হলো, জরিপে অংশ নেয়া ৮০ ভাগই মনে করেন ফরাসি নেতাদের সাহস নিয়ে কিছু করার ক্ষমতাই নেই!
তাহলে? যে তিমিরে আছে সে তিমিরেই থেকে যাবে ফ্রান্স? গত বছরের নির্বাচন জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়া ওলঁদ দেশকে এ অবস্থাতেই রেখে পরের নির্বাচনও জেতার আশা করলে বোধহয় ভুলই করবেন৷ জরিপে জানা গেছে, সরকার বিভিন্ন খাতে ব্যয় সংকোচনের কাজে নামলে, ইউরোপীয় কমিশনের পরামর্শ অনুযায়ী এ মুহূর্তে দেশের শতকরা ৭৪ ভাগ মানুষই তাতে সমর্থন দেবে৷ এত মানুষ পাশে থাকার পরও সরকার যদি হাত গুটিয়ে বসে থাকে, তাহলে এমন সরকারকে জনগণ কি আবার চাইতে পারে?
এসিবি/ডিজি (এএফপি)