নতুন এক ঝাঁক নিষেধাজ্ঞা
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭গত ৩রা সেপ্টেম্বরের পরমাণু পরীক্ষার পর এবারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় উত্তর কোরিয়া থেকে বস্ত্র রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করার পাশাপাশি সে দেশে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহের উপর কিছু শর্ত চাপানো হয়েছে৷ অ্যামেরিকার ইচ্ছামতো পেট্রোলিয়াম সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করা সম্ভব না হলেও প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করা হবে৷ বর্তমানে সে দেশে যে পরিমাণ অপরিশোধিত পেট্রোলিয়াম পাঠানো হয়, সেটিকেই ঊর্দ্ধসীমা হিসেবে স্থির করা হয়েছে৷ নতুন করে উত্তর কোরিয়ার কোনো শ্রমিককে বিদেশে কাজের অনুমতি দেওয়া যাবে না৷ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে প্রায় ৯৩,০০০ উত্তর কোরীয় শ্রমিক বিদেশে কর্মরত৷
জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হেলি বলেন, এই সব পদক্ষেপের মাধ্যমে পিয়ং ইয়ং-কে স্পষ্ট বার্তা পাঠানো হচ্ছে যে, বিশ্ব পরমাণু শক্তিধর উত্তর কোরিয়া মেনে নেবে না৷ তবে বর্তমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাও তুলে ধরেন তিনি৷ হেলি বলেন, অ্যামেরিকা মোটেই যুদ্ধ চায় না৷ পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করলেই উত্তর কোরিয়া তার ভবিষ্যৎ আবার নিশ্চিত করতে পারবে৷ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্য প্রমাণ করলে গোটা বিশ্ব সে দেশের প্রতি শান্তির পথে এগোবে৷
কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা কমাতে চীন ও রাশিয়া সীমান্তের দুই প্রান্তেই শান্তিপূর্ণ পদক্ষেপের ডাক দিচ্ছে৷ অর্থাৎ তারা চায়, উত্তর কোরিয়া পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করুক৷ সেই সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ সামরিক মহড়াও বন্ধ হোক৷ অ্যামেরিকা অবশ্য এই প্রস্তাব মানতে নারাজ৷ রাশিয়া মনে করে, বর্তমান সংকট কাটাতে কোনো রাজনৈতিক পদক্ষেপ না নিয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা চাপানো ঠিক নয়৷ তাছাড়া এখনই নিষেধাজ্ঞার মাত্রা চরমে নিয়ে গেলে ভবিষ্যতে উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদের হাতে আর কোনো পদক্ষেপ নেবার উপায় থাকবে না৷ চীনও দ্রুত উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে আলোচনার উপর জোর দিচ্ছে৷
নতুন দফার নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তের আগেই উত্তর কোরিয়া অ্যামেরিকার প্রতি নতুন করে হুমকি দিয়েছিল৷ উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সোমবার বলেন, এই পদক্ষেপের জন্য অ্যামেরিকাকে উচিত শিক্ষা পেতে হবে৷
নিরাপত্তা পরিষদের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে এশিয়ার অনেক দেশ৷ উত্তর কোরিয়ার পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার কারণে এইসব দেশ চরম অস্বস্তিতে ভুগছে৷
এসবি/এসিবি (এএফপি, রয়টার্স)