1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান

১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২

কোনো কথাই শুনছেন না সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ৷ দেশটিতে শান্তি ফিরিয়ে আনতে আরব লিগের নতুন প্রস্তাবও প্রত্যাখ্যান করেছেন তিনি৷ বিনিময়ে চলছে দেশজুড়ে বিদ্রোহীদের দমন পীড়ন৷

https://p.dw.com/p/142dz
ছবি: AP

আরব লিগের নতুন প্রস্তাব

আরব রাষ্ট্র ও জাতিসংঘের সমন্বয়ে সিরিয়ায় একটি শান্তিরক্ষা মিশন পাঠানোর প্রস্তাব করা হয়েছে৷ গতকাল রবিবার কায়রোতে লিগের নেতাদের বৈঠক থেকে এই প্রস্তাব করা হয়৷ কিন্তু সিরিয়া এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷ তারা বলছে, এটা সিরিয়ার সার্বভৌমত্বের পরিপন্থী৷ এদিকে রাশিয়া বলছে, তারা এই প্রস্তাবের আরও খুঁটিনাটি জানতে চায়৷ রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলছেন, কোনো দেশে শান্তিরক্ষা মিশন পাঠানোর আগে প্রয়োজন যুদ্ধবিরতি৷ আর এজন্য প্রয়োজন দুই পক্ষের সম্মতি৷ কিন্তু সিরিয়ায় যেসব সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে তারা কারও কথা শোনেনা৷ তাদের উপর কারও নিয়ন্ত্রণও নেই৷ তবে আরব লিগের এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছে জার্মানি, ব্রিটেন সহ ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র আন্দ্রেয়াস পেশকে সাংবাদিকদের বলেছেন, সিরিয়ার সংকট সমাধানে আরব লিগের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা প্রয়োজন৷ এদিকে ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলছেন, আরব লিগের প্রস্তাব কার্যকর করার জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনা শুরু করা উচিত৷

Arabische Liga in Kairo
আরব লিগের বৈঠকে সিরিয়ার জন্য সংরক্ষিত আসনছবি: dapd

বিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ

আরব লিগের সভায় বিরোধীদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

বার্তা সংস্থা এএফপি এমন খবর দিয়েছে৷ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আরব লিগের কর্মকর্তারা সিরিয়ার বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবে৷ এবং তাদেরকে যতটা সম্ভব আর্থিক ও রাজনৈতিক সমর্থন দেবে৷ এছাড়া আরব লিগের বৈঠকে ‘ফ্রেণ্ডস অব সিরিয়া' গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷ এর একটি বৈঠকও ঠিক করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে৷

সবশেষ অবস্থা

হোমস শহরে সরকারি বাহিনীর দমন অভিযান চলছেই৷ এ মাসের ৪ তারিখে সেটা শুরু হয়েছে, যেদিন নিরাপত্তা পরিষদে রাশিয়া ও চীন ভেটো দেয়৷ এরপর থেকে হোমসে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫০০ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন বিরোধী সংগঠন৷ এদিকে লাজাত শহরে সেনাবাহিনী ত্যাগ করে আসা কর্মকর্তাদের সঙ্গে সরকারি সেনা সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে৷ এছাড়া সরকার বিরোধী চারজনের মা'কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷ সরকারি বার্তা সংস্থা সানা বলছে, সিরিয়ার বিদ্রোহীদের যে কোনো মূল্যে দমন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য