1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরেক জার্মানি

ক্রিস্টফ স্ট্রাক/এসি২০ অক্টোবর ২০১৫

জার্মানিতে ইসলাম বিরোধী পেগিডা আন্দোলনের এক বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ড্রেসডেনে আবার সমাবেশ, আবার গালিগালাজ৷ উদ্বাস্তু সমস্যার পাশাপাশি এই মনোভাবটাও একটা সমস্যা হয়ে দাঁড়াছে, বলে মনে করেন ক্রিস্টফ স্ট্রাক৷

https://p.dw.com/p/1GqyK
Deutschland Pegida Kundgebungen zum Pediga-Jahrestag in Dresden
ছবি: Getty Images/S. Gallup

পেগিডা শব্দটি যে সব জার্মান কথার সমষ্টি, তা বোঝায়: প্রতীচ্যের ইসলামীকরণের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমী ইউরোপীয়দের জোট৷ পেগিডার প্রথম বার্ষিকীতে ড্রেসডেনের থিয়াটারপ্লাৎস চত্বরে সম্ভবত পনেরো থেকে বিশ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন৷ পেগিডা'র ফ্রন্ট ম্যান লুৎস বাখমান ইউরোপের রাইট উইং পপুলিস্ট, অর্থাৎ কট্টর দক্ষিণপন্থিদের ড্রেসডেনে আসার আহ্বান জানিয়েছিলেন৷

আনুষ্ঠানিকভাবে সভা শুরু হবার আগেই শোনা যায় ‘‘ম্যার্কেলকে বিদায় করো!'' ধ্বনি৷ পেগিডা সমাবেশের ‘স্টার গেস্ট' এবার ছিলেন এক তুর্কি বংশোদ্ভূত জার্মান, আকিফ পিরিঞ্চি৷ জাতিতে তুর্কি জার্মান নাগরিক আকিফ পিরিঞ্চি জার্মান রাজনীতিকদের বললেন ‘‘স্বজাতির বিরুদ্ধে কর্মকর্তা'' - তা'ও আবার ‘গাওলাইটার', অর্থাৎ নাৎসি আমলের কর্মকর্তা৷ পিরিঞ্চির কাছে শরণার্থীরা হলেন ‘‘অনুপ্রবেশকারী''৷ নাৎসি আমলের বন্দিশিবির যে আর নেই, সেজন্য দুঃখপ্রকাশ করা থেকে শুরু করে বার্লিন প্রাচীরে গুলিচালনা নিয়ে উল্লাস - পেগিডা'র মাননীয় অতিথি এ'দিন কিছুই বাদ দেননি৷ ওদিকে বাখমান বলেছেন, তিনি পিরিঞ্চির ব্যাপারে গর্বিত৷

ড্রেসডেনের সুবিখ্যাত নাট্যশালা চত্বরে সোমবার সন্ধ্যায় যারা দাঁড়িয়েছিলেন, তারা সকলেই কিন্তু চরম দক্ষিণপন্থি ছিলেন না৷ অনেকেই ছিলেন সাধারণ নাগরিক, বৃদ্ধ-বৃদ্ধা থেকে শুরু করে সন্তানসহ তরুণ দম্পতি৷ পিরিঞ্চির বিষোদ্গারণে কেউই আপত্তি করেননি৷ এরা ঠিক সেই জার্মানিই দেখতে চান - যা আমার জার্মানি নয়৷

Strack Christoph Kommentarbild App
ক্রিস্টফ স্ট্রাক, ডয়চে ভেলেছবি: DW

কাজেই রাজনীতি ও আইন বিভাগকে সক্রিয় হতে হবে৷ সোমবারের পেগিডা সমাবেশের আগেই ফেডারাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী টোমাস ডেমেইজিয়ার পেগিডা'র অভ্যন্তরে ‘‘কঠোর চরম দক্ষিণপন্থিদের'' কথা বলেছিলেন৷ সেই চরম দক্ষিণপন্থিরা কি এ'ভাবে মঞ্চে আবির্ভূত হতে পারে? শরণার্থী সমস্যার পাশে পেগিডা'র পরিমণ্ডলই একটা অশুভ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে৷

আরো একটি অশনি সংকেত: সোমবার সন্ধ্যায় পেগিডা সমাবেশে সাংবাদিকদের গালমন্দ করা হয়েছে, এমনকি হাতাহাতিও হয়েছে৷ ডয়চে ভেলে'র এক রিপোর্টারও সেই দাঙ্গায় পড়ে কিছু মারধোর, ঠেলাঠেলি সহ্য করে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন৷

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য