জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ‘বুর্কিনি’
২৪ আগস্ট ২০১৬শুধু মুসলিম নারীরা নয়, এখন অনেক অমুসলিম নারীও কিনতে শুরু করেছেন বুর্কিনি৷ বুর্কিনির ডিজাইনার আহেদা জানেত্তি নিজেই জানিয়েছে কথাটা৷ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের বিক্রি আরো বাড়ছে৷ ওরা যতই নিষিদ্ধ করুক, যতই বাতিল ঘোষণা করুক, তার মানে তো এই নয় যে সবাই এটা পরা বন্ধ করে দেবে৷'' আহেদা জানান, এখন মোট বিক্রির প্রায় ৪০ শতাংশ বুর্কিনিই উঠছে অমুসলিম নারীদের হাতে৷
২০০৪ সালে শুধু মুসলিম নারীদের কথা ভেবেই সাঁতারের এই বিশেষ পোশাকটির ডিজাইন করেছিলেন লেবানন থেকে অস্ট্রেলিয়ায় পাড়ি জমানো আহেদা জানেত্তি৷ ‘বুরকা', অর্থাৎ বোরকা এবং স্নানের পোশাক বিকিনি – এই দুয়ের ধারণার সমন্বয়ে তৈরি বলে পোশাকটির নাম ‘বুর্কিনি' দিয়েছিলেন আহেদা৷ ভেবেছিলেন, মুসলিম নারীদের ওপর চোখ-মুখ ঢাকা বোরকা পরায় যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে তা থেকে এই পোশাক রেহাই পাবে৷ আরো ভেবেছিলেন সাধারণ অবস্থায় তো বটেই চাইলে সাঁতারের সময়ও এই পোশাক পরতে পারবেন মুসলিম নারীরা৷
কিন্তু সম্প্রতি ফ্রান্সে বুর্কিনিও নিষিদ্ধ করা হয়৷ ফরাসি সরকার বলছে, বোরকা বা নিকাব তো বটেই, এমনকি মুখমণ্ডল ছাড়া শরীরের বাকি সব অংশ ঢেকে রাখার পোশাক বুর্কিনিও সে দেশের ধর্মনিরপেক্ষ নীতির সঙ্গে বেমানান৷ তারপর থেকেই চলছে বিতর্ক৷ কেউ কেউ বলছেন, বুর্কিনি নিষিদ্ধ করা একেবারেই ঠিক হয়নি৷ কেউ আবার বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে এমন নিষেধাজ্ঞার প্রয়োজনীয়তা অস্বীকার করা যায় না৷
তবে বিতর্কে জড়িয়ে পড়া সবাই যা-ই বলুন, বাজারে কিন্তু তার খারাপ কোনো প্রভাব পড়েনি৷ বরং বিতর্ক বাজারকে আরো চাঙা করেছে৷ আহেদা জানেত্তি আশা করছেন, সারা বিশ্বে বুর্কিনির বিক্রি আরো বাড়বে৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, এপি)
আপনিও কি একটি বুর্কিনি কিনতে চান? লিখুন নীচের ঘরে৷