1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আরো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসান চরে স্থানান্তর

২৫ নভেম্বর ২০২১

বাংলাদেশ সরকার বৃহস্পতিবার আরো কয়েকশত রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে স্থানান্তর করেছে৷ মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবশ্য বঙ্গোপসাগরের দ্বীপটিতে জোর করে কাউকে পাঠানো হচ্ছে কিনা তা নিয়ে উদ্বিগ্ন৷ 

https://p.dw.com/p/43Toa
Bangladesch Geplante Umverlegung der geflüchteten Rohingya nach Bhasan Char
ছবি: DW/A. Islam

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে নিরাপত্তা চৌকিতে আক্রমণের ঘটনায় সামরিক অভিযান শুরু হলে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের টেকনাফ ও উখিয়ায় পালিয়ে আসে৷ এছাড়া আগে থেকেই সেখানে বসবাস করছিলেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা৷  

সবমিলিয়ে এগারো লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ৷

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার করা উচিত বলে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের সমর্থনে পরিচালিত এক তদন্তে সুপারিশ করা হয়েছে৷

রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি দেখভাল করা ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোজা জানিয়েছেন নৌবাহিনীর জাহাজে করে ৩৭৯ জনকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভাসান চরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

‘‘তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যাচ্ছেন৷ ৩৭৯ জনের সবাই উন্নত এবং নিরাপদ জীবনের আশায় সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,'' বার্তাসংস্থা এপিকে বলেন তিনি৷

‘‘তাদের খাবার থেকে ঔষধ পর্যন্ত সবকিছু কর্তৃপক্ষ দেখভাল করবে,'' তিনি যোগ করেন৷

১১ মাস আগে থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তর শুরু করে বাংলাদেশ সরকার৷ দ্বীপটিতে একলাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে৷

শামসুদ্দোজা জানিয়েছেন, দ্বীপটিতে দেড় হাজারের মতো মানুষকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে৷ ইতোমধ্যে ১৯ হাজারের মতো শরণার্থীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে৷   

উল্লেখ্য, ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে দীর্ঘদিন বিরোধিতা করলেও গত অক্টোবরে সেখানে শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঐক্যমত্যে পৌঁছায় জাতিসংঘ৷ এর আগে জাতিসংঘসহ একাধিকবার আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছিল যে দ্বীপটিতে বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত পানি ওঠে এবং সেটি বসবাসের উপযুক্ত নয়৷

পাশাপাশি অ্যামনেস্টিসহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে যে রোহিঙ্গাদের জোর করে দ্বীপটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার৷  

এআই/কেএম (এপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান