আরো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসান চরে স্থানান্তর
২৫ নভেম্বর ২০২১২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে নিরাপত্তা চৌকিতে আক্রমণের ঘটনায় সামরিক অভিযান শুরু হলে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা পার্শ্ববর্তী দেশ বাংলাদেশের টেকনাফ ও উখিয়ায় পালিয়ে আসে৷ এছাড়া আগে থেকেই সেখানে বসবাস করছিলেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা৷
সবমিলিয়ে এগারো লাখের বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ৷
রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার দায়ে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় সেনা কমান্ডারদের বিরুদ্ধে গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে বিচার করা উচিত বলে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের সমর্থনে পরিচালিত এক তদন্তে সুপারিশ করা হয়েছে৷
রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়টি দেখভাল করা ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামসুদ্দোজা জানিয়েছেন নৌবাহিনীর জাহাজে করে ৩৭৯ জনকে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভাসান চরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷
‘‘তারা স্বেচ্ছায় সেখানে যাচ্ছেন৷ ৩৭৯ জনের সবাই উন্নত এবং নিরাপদ জীবনের আশায় সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন,'' বার্তাসংস্থা এপিকে বলেন তিনি৷
‘‘তাদের খাবার থেকে ঔষধ পর্যন্ত সবকিছু কর্তৃপক্ষ দেখভাল করবে,'' তিনি যোগ করেন৷
১১ মাস আগে থেকে রোহিঙ্গাদের ভাসান চরে স্থানান্তর শুরু করে বাংলাদেশ সরকার৷ দ্বীপটিতে একলাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে৷
শামসুদ্দোজা জানিয়েছেন, দ্বীপটিতে দেড় হাজারের মতো মানুষকে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে স্থানান্তর করা হবে৷ ইতোমধ্যে ১৯ হাজারের মতো শরণার্থীকে সেখানে পাঠানো হয়েছে৷
উল্লেখ্য, ভাসান চরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের বিষয়ে দীর্ঘদিন বিরোধিতা করলেও গত অক্টোবরে সেখানে শরণার্থীদের সহায়তার বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঐক্যমত্যে পৌঁছায় জাতিসংঘ৷ এর আগে জাতিসংঘসহ একাধিকবার আন্তর্জাতিক সংস্থা বলেছিল যে দ্বীপটিতে বর্ষা মৌসুমে নিয়মিত পানি ওঠে এবং সেটি বসবাসের উপযুক্ত নয়৷
পাশাপাশি অ্যামনেস্টিসহ একাধিক মানবাধিকার সংগঠন দাবি করেছে যে রোহিঙ্গাদের জোর করে দ্বীপটিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ এই অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছে বাংলাদেশ সরকার৷
এআই/কেএম (এপি)