1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আর্সেনিক প্রতিরোধের মডেল

২৭ আগস্ট ২০১৩

চীন এবং বাংলাদেশসহ যেসব দেশের পানিতে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি সেসব দেশে ভূ-গর্ভস্থ পানি পরীক্ষা করে আর্সেনিকের উপস্থিতি নির্ধারণের একটি মডেল নির্মাণ করেছেন ইউরোপ ও চীনের গবেষকরা৷

https://p.dw.com/p/19WHx
ছবি: UNICEF/Asad Zaidi

বৃহস্পতিবার ইউএস জার্নাল সায়েন্সে এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়৷

এই গবেষণার ফলস্বরূপ ঘনবসতিপূর্ণ যেসব এলাকায় আর্সেনিকের ঝুঁকি রয়েছে সেখানে যেমন এটি প্রয়োগ করা সম্ভব, তেমনি অন্যান্য এলাকাতেও একইভাবে পরীক্ষা করা সম্ভব৷ এর ফলে অর্থ ও সময়ের সাশ্রয় হবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা৷ বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে আর্সেনিকের ঝুঁকি সবচে বেশি৷

১৯৭০ সালে চীনে প্রথম আর্সেনিকের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়৷ আর ১৯৯৪ সালে চীনা কর্তৃপক্ষ এটিকে আঞ্চলিক রোগ হিসেবে ঘোষণা করে৷ চীনা সরকারের অর্থায়নে ২০০১ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত প্রত্যেকটি কূপের পানি পরীক্ষা করে নতুন মডেলটি তৈরি করা হয়, যাতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হয়েছে৷

Neue Wasserquelle gebaut von Islamic Relief Worldwide
আর্সেনিকের উপস্থিতি নির্ধারণের মডেল নির্মাণ করেছেন ইউরোপ ও চীনের গবেষকরাছবি: Ismail Hossain

এই মডেলটির নির্মাতা লুইস রডরিগেজ-লাডো এবং তাঁর দল প্রতিটি কূপের পানি পরীক্ষা করে, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ করে এই মডেলটি তৈরি করেন৷ মাটির সিক্ততা, লবণাক্ততা এবং প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য নেয়া হয়েছে৷ এসব তথ্য থেকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এবং কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করা হয়৷

তবে গবেষকরা বলছেন, প্রত্যেকটি স্থানের ভূগর্ভস্থ পানি পরীক্ষা করার কোনো বিকল্প নেই৷ তাই নতুন মডেলটিতে ব্যয় কম হলেও এটি খুব বেশি লাভজনক নয়৷

তবে গবেষকদের আশা, এই মডেলটি ব্যবহারের ফলে সুপেয় পানি পান করার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে এবং আর্সেনিক প্রতিরোধের বিষয়ে এটি গবেষণা করতে সাহায্য করবে, যা শেষ পর্যন্ত লাখো মানুষের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে৷

এরই মধ্যে গবেষকরা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো যেমন চিহ্নিত করেছেন, তেমনি নতুন নতুন কিছু এলাকাও চিহ্নিত করেছেন, যার মধ্যে উত্তর চীনের সমতল প্রদেশগুলো এবং সিচুয়ান প্রদেশের মধ্যাঞ্চল রয়েছে৷

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, চীনের প্রায় ১ কোটি ৯৬ লাখ মানুষ আর্সেনিক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে৷ দীর্ঘ দিন ধরে আর্সেনিকযুক্ত পানি ব্যবহারের ফলে ত্বক, যকৃত ও কিডনি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তেমনি ক্যানসার পর্যন্ত হতে পারে৷

এপিবি/ডিজি (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য