আরব সংগীত
১ মার্চ ২০১২গীতিকার, সুরকার, বাদক ও গায়ক সেব খালিদ ৭০ এর শেষার্ধ থেকেই আলজেরিয়া তথা আরব সংগীত জগতে ‘রাই' সংগীত শিল্পী হিসেবে কুড়িয়েছেন বিপুল জনপ্রিয়তা৷ সেই সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব আসরেও জায়গা করে নেন তিনি৷ ১৯৯২ সালে তাঁর প্রথম অ্যালবাম ‘খালিদ' এর ‘দি দি' গানটি তাঁকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি ৷
তাঁর পরবর্তী অ্যালবাম ‘সাহরা' পায় বিরাট সাফল্য৷এই অ্যালবামের গান ‘আইশা' আলজেরিয়া, ফ্রান্স ও ইংল্যণ্ড সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হিট গানের তালিকায় সেরা ১০টি গানের ১টি হিসেবে স্থান অধিকার করে৷ তাঁর মেয়েকে উৎসর্গ করে লেখা এই গান৷
সেব খালিদের জন্ম ১৯৬০ সালের ২৯ শে ফেব্রুয়ারি আলজেরিয়ার অরান শহরে৷ আসল নাম হাজ ব্রাহিম খালিদ৷ ছোটবেলা থেকেই অরান শহরের ঐতিহ্যবাহী জনপ্রিয় লোকসংগীত ‘রাই' এর প্রতি তাঁর ছিল গভীর অনুরাগ৷ খুব কম বয়স থেকেই গান ও গিটারসহ একাধিক বাদ্যযন্ত্রে তাঁর স্বশিক্ষা৷ ১৪ বছর বয়সে তাঁর নিজস্ব শিল্পী গোষ্ঠী নিয়ে বিভিন্ন বিবাহ অনুষ্ঠান, পার্টি এবং ক্লাবে রাই সংগীত পরিবেশন শুরু করেন খালিদ৷ তাঁর আরব সংগীতের সংগে পশ্চিমের পপ ও রকের কিছুটা প্রভাব মিশিয়ে এক নতুন আঙ্গিকের গান উপহার দেন তাঁর অনুরাগীদের৷ সেই থেকে শুরু হয় খালিদের সফল সংগীত জীবন৷ ধীরে ধীরে সেব অর্থাৎ তরুণ খালিদের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে সারা আরব বিশ্বে৷ ১৯৮৬ সালে রাজনৈতিক চাপের কারণে আলজেরিয়া ছেড়ে প্যরিসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হোন তিনি৷
এখান থেকে শুরু হয় অন্তর্জাতিক সংগীতাঙ্গনে তাঁর অগ্রযাত্রা৷ সেব বাদ দিয়ে শুধু খালিদ হিসেবে পরিচিত হয়ে ওঠেন তিনি৷ তাঁর আবেগময় সুরেলা কণ্ঠস্বর মুগ্ধ করে অসংখ্য অনুরাগীদের৷ বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী কণ্ঠ মিলিয়েছেন তাঁর সাথে৷ দু'বার ওয়ার্ল্ড মিউজিক পুরস্কার পেয়েছেন খালিদ৷ পেয়েছেন ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ফিল্ম সংগীতের জন্য পুরস্কার৷ এছাড়াওআরো বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন খালিদ৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমেদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক