বিজেপি নেতার জমির দাবি
২২ এপ্রিল ২০১৪আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিক ‘সাময়িক প্রসঙ্গ' গত শনিবার সুব্রামনিয়াম স্বামীর ওই বক্তব্য প্রকাশ করে৷ সেখানে এই বিজেপি নেতা দাবি করেন, দেশ ভাগের পর বাংলাদেশ থেকে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে৷ তাই বাংলাদেশকে তাদের ফিরিয়ে নিতে হবে৷ তা না হলে খুলনা থেকে সিলেট পর্যন্ত সমান্তরাল রেখা টেনে বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূখণ্ড ভারতের হাতে ছেড়ে দিতে হবে৷
এর প্রতিক্রিয়ায় সামহয়্যার ইন ব্লগে শামীম সুজায়েত লিখেছেন, ‘‘সিলেটকে ভারতের করে নেয়ার এক ফমুর্লা বের করেছে মোদীর বিজেপি৷ সেই ফর্মুলা অনুযায়ী দেশের দক্ষিণ-পশিমাঞ্চল চলে যাবে পশিমবঙ্গের ভেতর৷ অপরদিকে সিলেট ঢুকে যাবে মেঘালয়ের সাথে৷''
সুব্রামনিয়াম স্বামীর বক্তব্যের সমালোচনায় তিনি পাল্টা দাবি তুলেছেন, আসাম-ত্রিপুরা, মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গের বনগাঁ থেকে মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত এই বেল্টের পরপর অঞ্চলগুলো বাংলাদেশর জন্য ছেড়ে দিতে হবে৷ তাঁর কথায়, ‘‘যেভাবেই দেখা হোক না কেন, যুক্তিতর্কে, জনমত জরিপ, কিংবা বসবাসরত মানুষের মতামতের প্রেক্ষিতে ভারতের ওই রাজ্যগুলোর মালিক বাংলাদেশ৷''
অবশ্য সুব্রামনিয়ামের ওই বক্তব্যকে এতটা গুরুত্ব দেয়ার কিছু দেখছেন না জুনায়েদ তাহসান৷ সামহয়্যার ইন ব্লগে তিনি লিখেছেন, ‘‘গত কিছুদিন ধরেই দেখছি ভারতের কোনো এক পাতি নেতা নাকি বাংলাদেশের কিছু অংশের ভাগ চাইছে৷ আর সেটা নিয়েই দেখি ব্লগ কিংবা ফেসবুকে বিশাল ঝর উঠেছে৷ খুবই হাস্যকর৷....আপনি যত ‘রিঅ্যাক্ট' করবেন খবরের গুরত্ব তত বেড়ে যাবে৷''
আমার ব্লগে প্রায় একই ধরনের কথা লিখেছেন শিমুল জিতু৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘কথাটা যদি আজ ভারতীয় সরকারের কোনো নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কেউ বলতো কিংবা গ্রহণযোগ্য কোনো মুখ থেকে আসতো, তাহলে আমরা আমাদের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলায় তার বিচার দাবি করতাম৷ কিন্তু....এর কথা কানে নিলে বোকামি, আর তা নিয়ে হৈ চৈ করা আরো বড় বোকামি৷''
তাঁর এই লেখার প্রতিক্রিয়ায় ইমরান ওয়াহিদ জোয়ার্দ্দার লিখেছেন, ‘‘অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদী নিজেই বুঝি ভোটে জিততে এই ইস্যু টানছে৷ লোকে ভুলেই গেছে, মোদী বিরাট সেয়ানা৷ কংগ্রেসের চাইতেও বেটার পররাষ্ট্রনীতি দেখবেন ওর কাছ থেকে৷''
সংকলন: জাহিদুল কবির
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ