আলোচিত হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
১৫ মার্চ ২০১৩দলটি সম্পর্কে ‘আমার ব্লগ' এ অভিমানী ব্যারিস্টার লিখেছেন, ‘‘যে দলটির কার্যকলাপ অতীতে কখনো চোখে পরার মতই ছিলনা সে দলটি কীভাবে সংবাদ সম্মেলন করে শাহবাগ আন্দোলনে জড়িতদের গণহারে নাস্তিক, মুরতাদ বলে রায় দিয়ে দেয় এবং চট্টগ্রামে গণমঞ্চের কোন সমাবেশ করতে দেয়া হবেনা বলে চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দেয়; এটা কি একা হেফাজতে ইসলামীর পক্ষে সম্ভব?''
এই ব্লগার বলছেন, জামায়াতকে যদি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে দলটি হারিয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন না৷ বরং জামায়াত নিষিদ্ধ সংগঠন হিসেবে নতুন দল ঘোষণা করতে পারে বা নতুবা কোনো দলে যোগদান করে সেটির দায়িত্ব নিতে পারে৷ এরপর ক্ষমতার জোরে সেই দলকে নিজেদের ইচ্ছামত পরিচালনা করতে পারে৷
অভিমানী ব্যারিস্টার লিখেছেন, ‘‘বলা বাহুল্য, হেফাজতে ইসলামীর আজকের গলা ফাটানোর পেছনে থেকে অন্য কেউ যে কাঠি নাড়ছে তা বুঝতে বোধ হয় জ্ঞানগুরু হওয়ার দরকার নেই৷''
এদিকে, সামহোয়্যার ইন ব্লগে ‘তাজমুল আক্তার' লিখেছেন, ‘‘জামায়েত ইসলামী নিষিদ্ধ হবার সম্ভাবনায় এদের নেতাদের হেফাজতে ইসলাম গঠন... হেফাজতে ইসলামের নাম দিয়েই মূলত জামাত/শিবির সংগঠিত হচ্ছে.. যারা এখনও বুঝতে পারছে না তারা অচিরেই হেফাজতে ইসলামের জঙ্গী তৎপরতা দেখতে পাবেন..''
একই ব্লগে ‘বাঙ্গাল' লিখেছেন, হেফাজতে ইসলাম এতদিন সেবামূলক কাজকর্ম করতো৷ দুই সপ্তাহ আগে তাদের একজন সদস্য গ্রেফতার হন, যিনি একজন ব্রিটিশ-বাংলাদেশি৷ নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে রাস্তায় নামলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়৷ এরপরই আসলে খেপে যায় হেফাজতে ইসলাম - এমন মন্তব্য ব্লগার বাঙ্গালের৷
তিনি লিখেছেন, হেফাজতে ইসলামের শীর্ষনেতা হলেন ইসলামী ঐক্যজোটের নেতা আল্লামা মাওলানা শাহ আহমেদ শফি, যিনি চট্টগ্রামের প্রখ্যাত ‘আল্-জামিয়াতুল আহ্লিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম' মাদ্রাসার প্রধান৷ ‘‘সরকার বিরোধী দলের কার্যালয়ে হানা দেয়ার সাহস দেখালেও মাওলানা শফির গায়ে ফুলের টোকা দিতেও দশবার সামনে পিছে হিসাব করবে৷ সেক্যুলার দল হিসাবে লীগের এই বেহাল দশায় খুব একটা আনন্দিত হবার কিছু নাই৷ কারণ প্রথমবারের মত এই মাদ্রাসাভিত্তিক দলগুলা বুঝতে পারসে তাদের শক্তি৷ সামনে তারা এই শক্তির মহড়া দেখাবে না এমন বলা যায় না৷''