আশা জাগিয়েও জিততে না পারা ছয় টেস্ট
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ ১২১টি টেস্ট ম্যাচ খেলে মাত্র ১৪টিতে জিতেছে৷ আরো কয়েকটি ম্যাচে জেতার আশা জাগিয়ে তুলেছিল টাইগাররা৷ এমন ছয়টি টেস্টের তথ্য থাকছে ছবিঘরে৷
মুলতান টেস্ট, ২০০৩
বাংলাদেশের অধিনায়ক খালেদ মাহমুদকে চোখ মুছতে মুছতে মাঠ ছাড়তে দেখা যাচ্ছে৷ কারণ, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানের মুলতানে অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচ জেতার ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ৷ ২৬১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামা পাকিস্তানের সংগ্রহ একটা সময় ছিল ৮ উইকেটে ২০৫৷ কিন্তু মাঠে থাকা ইনজামাম বলতে গেলে প্রায় একাই সেদিন বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিলেন৷ ১৩৮ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি৷ পাকিস্তান জিতেছিল এক উইকেটে৷
ফতুল্লা টেস্ট, ২০০৬
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে শাহরিয়ার নাফীসের শতকের (১৩৮) সুবাদে ৪২৭ রান করে বাংলাদেশ৷ এরপর রফিকের অসাধারণ বোলিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে যায়৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ১৪৮ রানে অলআউট হওয়ায় বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়ার সামনে ৩০৭ রানের লক্ষ্য দেয়৷ আবারও রফিকের কারণে ২৭৭ রানে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার৷ কিন্তু মাঠে তখনো ছিলেন রিকি পন্টিং৷ অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেন তিনি৷
চট্টগ্রাম টেস্ট, অক্টোবর ২০০৮
প্রথম ইনিংসে ৪৪ রানে বাংলাদেশের ৪ উইকেট পড়ে গেলেও মুশফিকুর রহিম ও মেহরাব জুনিয়রের ব্যাটিংয়ের কারণে ২৪৫ রান তুলেছিল টাইগাররা৷ এরপর সাকিব ৩৬ রানে সাত উইকেট নিয়ে কিউইদের ১৭১ রানে আটকে দিয়েছিলেন৷ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ২৪২ রান তুললে মোট ৩১৭ রানের টার্গেট পায় নিউজিল্যান্ড৷ ওপেনার রেডমন্ডের ৭৯ আর চার নম্বরে নামা ড্যানিয়েল ভেট্টোরির ৭৬ রানের সুবাদে তিন উইকেটে জিতে যায় কিউইরা৷
ঢাকা টেস্ট, ফেব্রুয়ারি ২০০৮
মর্কেল আর স্টেইনের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ১৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ৷ তবে শাহাদাত হোসেনের (২৭ রানে ছয় উইকেট) কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা মাত্র ১৭০ রানেই অলআউট হয়ে যায়৷ এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ১৮২ রানে অলআউট হয়ে গেলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে মাত্র ২০৫ রানের টার্গেট দিতে সমর্থ হয় টাইগাররা৷ স্মিথ ও হাশিম আমলার ব্যাটিংয়ে ভর করে পাঁচ উইকেটের জয় পায় প্রোটিয়ারা৷
চট্টগ্রাম টেস্ট, ২০১৬
সাব্বিরকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন জো রুট৷ পঞ্চম দিনে জেতার জন্য ৩৩ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের৷ ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২ উইকেট৷ বাংলাদেশ হেরে যায় ২২ রানে৷ তাই ৬৪ রানে অপরাজিত থাকা সাব্বিরকে হতাশা ঘিরে ধরেছিল৷ প্রথম ইনিংসে মিরাজের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে (৮০ রানে ৬ উইকেট) ইংল্যান্ড ২৯৩ রান তুলতে সমর্থ হয়৷ জবাবে বাংলাদেশ করেছিল ২৪৮ রান৷ দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪০ রান করে ইংলিশরা৷ বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ২৬৩ রানে৷
ঢাকা টেস্ট, ২০২১
প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪০৯ রান করলেও দ্বিতীয় ইনিংসে তাদেরকে ১১৭ রানে বেঁধে ফেলে টেস্ট জয়ের আশা জাগিয়েছিল বাংলাদেশ৷ দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য ২৩১ রানের টার্গেট পেয়েছিল টাইগাররা৷ কিন্তু ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় ২১৩ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ৷ ফলে ১৭ রানে হেরে যায় টাইগাররা৷ এটাই টেস্টে বাংলাদেশের সবচেয়ে কম রানে পরাজয়৷ ৯ উইকেট পাওয়ায় ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হন রাহকিম কর্নওয়াল৷