সিরিয়া সংকটে নতুন মোড়
৩১ মে ২০১৩বিদ্রোহীরা আরো বেশি আধুনিক এবং শক্তিশালী অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলে আসাদ সরকারের পতন ত্বরাণ্বিত হবে, শেষ হবে দু'বছর আগে শুরু হওয়া যুদ্ধ – মূলত এই ভাবনা থেকেই বুধবার অস্ত্র সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)৷ বিষয়টি নিয়ে ইইউ দ্বিধাবিভক্ত ছিল৷ ব্রিটেন আর ফ্রান্স ছিল নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পক্ষে৷ তাদের যুক্তি ছিল, আসাদ সরকার যেহেতু রাশিয়া আর ইরানের কাছ থেকে অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে, তাই বিদ্রোহীদের একই সহায়তা দেয়া উচিত৷ এর ফলে যুদ্ধ তাড়াতাড়ি শেষ হতে পারে৷ অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র এবং সুইডেন সংকট আরো ঘণীভূত হবার আশঙ্কা প্রকাশ করার পরও তাই বাশার আল-আসাদ বিরোধীদের অস্ত্র সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়৷ তার পরপরই প্রেসিডেন্ট আসাদ জানালেন, রাশিয়া থেকে আকাশ থেকে নিক্ষেপণযোগ্য মিসাইল পাওয়ার কথা৷
তাঁর সাক্ষাৎকার প্রচারিত হওয়ার আগেই বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমে চলে আসে৷ লেবাননের হেজবুল্লাহ সমর্থিত বলে পরিচিত আল-মানার চ্যানেলকে বাশার আল-আসাদ বলেছেন, ‘‘রাশিয়ার কাছ থেকে সিরিয়া প্রথম কিস্তির এস ৩০০-মিসাইল পেয়েছে৷ চালানের বাকি মিসাইলগুলোও শিগগিরই চলে আসবে৷''
এমনিতে সিরিয়ার সঙ্গে যে এমন একটি চুক্তি রয়েছে তা রাশিয়া আগেই বলেছে৷ চুক্তি কার্যকর করার অঙ্গীকার রক্ষার ঘোষণাও দিয়েছিল সিরিয়ার মিত্র দেশটি৷ সেদিক থেকে আসাদের ঘোষণা অনুমিত ঘটনারই প্রকাশ৷ যা এখনই অনুমান করা যাচ্ছেনা, তা হলো, সিরিয়া যুদ্ধের পরিণতি৷ গত দু'বছরে ৮০ হাজার মানুষ মারা গেছে এ যুদ্ধে৷ বাশার আল-আসাদের অনুগত বাহিনী এভাবে রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র সহায়তা পাওয়ার পর যুদ্ধ দ্রুত শেষ হয়, নাকি প্রলম্বিত হয় সেটাই এখন দেখার বিষয়৷
এসিবি/ডিজি (রয়টার্স, ডিপিএ, এএফপি)