1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

আয়া সোফিয়ার কারণে শঙ্কায় এথেন্সের মুসলমানরা

৮ আগস্ট ২০২০

গ্রিসের এথেন্স ইউরোপের একমাত্র রাজধানী যেখানে এখনও কোনো অফিসিয়াল মসজিদ নেই৷ তবে হেমন্তের শেষে একটি মসজিদ উদ্বোধনের কথা রয়েছে৷

https://p.dw.com/p/3gefv
Griechenland, Athen: Blick in die neue Moschee in Athen
ছবি: picture-alliance/dpa/A. Tzortzinis

কিন্তু সম্প্রতি তুরস্কে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘর থেকে মসজিদে রূপান্তরের ঘটনায় এথেন্সের মসজিদ উদ্বোধন আরো পিছিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সেখানকার মুসলমানরা৷ ‘‘এই ঘটনার পর আমার মনে হচ্ছে গত দশ বছর ধরে আমরা যে মসজিদের জন্য অপেক্ষা করছি সেটা চালু করা আরো কঠিন হয়ে উঠতে পারে,'' বলেন ইমাম আতা-উল নাসের৷ তিনি এথেন্সের একটি অস্থায়ী মসজিদের ইমাম৷

২০০৭ সালে এথেন্সে অফিসিয়াল মসজিদ তৈরির পরিকল্পনা করা হলে অর্থোডক্স চার্চ ও বিভিন্ন জাতীয়তাবাদী গোষ্ঠী এর বিরোধিতা করেছিল৷

অবশেষে ২০১৬ সালে গ্রিসের সংসদ মসজিদের পরিকল্পনা অনুমোদন করে৷ এরপর নির্মাণকাজ শেষে গতবছর সেপ্টেম্বরে সেখানে প্রথম নামাজ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল৷

মিনারহীন এই অফিসিয়াল মসজিদে প্রায় সাড়ে তিনশ জন নামাজ পড়তে পারবেন৷

গ্রিসের শিক্ষা ও ধর্ম মন্ত্রণালয় গতবছর জুনে জানিয়েছিল, সরকারের নিয়োগ দেয়া একটি পরিষদ মসজিদ পরিচালনা করবে, ইমাম নিয়োগ দেবে৷ খুতবা দেয়া যাবে শুধুমাত্র গ্রিক ভাষায়৷ তবে নামাজ পড়া যাবে আরবি ভাষায়৷

এথেন্সের মুসলমানরা বর্তমানে অ্যাপার্টমেন্ট ও বেসমেন্টকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করছেন৷ এজন্য সরকারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়৷

অফিসিয়াল মসজিদটি এথেন্সের উত্তরপূর্বে অবস্থিত, যা শহর থেকে একটু দূরে৷ তবে সেখানে অনেক মুসলিম শরণার্থী থাকেন৷

ইমাম আতা-উল নাসের বলছেন, এথেন্সের কেন্দ্রে অবস্থিত অটোমান সাম্রাজ্যের একটি মসজিদকে, যেটি এখন মিউজিয়াম, মুসলমানদের নামাজের জায়গা হিসেবে দেয়া যেত৷ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তাইয়্যিপ এর্দোয়ান বিভিন্ন সময় গ্রিসের নেতাদের প্রতি এই আহ্বান জানিয়েছিলেন৷ কিন্তু কয়েক শতাব্দী ধরে অটোমান সাম্রাজ্যের নিয়ন্ত্রণে থাকায় গ্রিসে এখনও তুর্কিবিরোধী মনোভাব বেশ শক্ত৷ ‘‘গ্রিকদের হৃদয়ে এখনও মুসলমানদের তুর্কি দখলদারীদের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হয়,'' বলেন ইমাম আতা-উল নাসের৷

ষষ্ঠ শতাব্দীতে নির্মিত আয়া সোফিয়াকে ১৪৫৩ সালে মসজিদে রূপান্তরিত করেছিল অটোমানরা৷ এরপর ১৯৩৪ সালে কামাল আতাতুর্ক ধর্মনিরপেক্ষ তুরস্কের প্রতীক হিসেবে আয়া সোফিয়াকে জাদুঘরে পরিণত করেন৷

জেডএইচ/এসিবি (এএফপি)