আয়ানের মৃত্যুতে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সামনে প্যান্ডোরার বাক্স
১৬ জানুয়ারি ২০২৪অভিনন্দিত হওয়ার সময়ে আয়ান ও আয়ানের মতো অসংখ্য শোকার্ত বাবা-মায়ের দুঃখ লাঘবের দায়িত্বও পেলেন তিনি৷
ঢাকার ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় আবারো আলোচনায় দেশের অবৈধ ক্লিনিক এবং হাসপাতাল৷ সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন ইতিমধ্যে দেশের সব অনিবন্ধিত হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন৷
আয়ানের ভুল চিকিৎসার অভিযোগে অভিযুক্ত ইউনাইটেড হাসপাতালের কোনো লাইসেন্স নেই৷ তাই স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ইতিমধ্যে হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে৷
মঙ্গলবার হাইকোর্ট আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন৷ পাশাপাশি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে লাইসেন্স আছে এবং লাইসেন্সবিহীন সব ধরনের হাসপাতাল এবং ক্লিনিকের তালিকা তিন মাসের মধ্যে জমা দিতে বলেছেন৷ এছাড়া আয়ানের মৃত্যুর ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে সাত দিনের মধ্যে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন হাইকোর্ট৷
অভিযোগে প্রকাশ, গত ৩১ ডিসেম্বর বাড্ডার সাঁতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে শিশু আয়ানকে তার বাবা-মায়ের সম্মতি ছাড়াই অতিরিক্ত অ্যানেসথেশিয়া দিয়ে খৎনা করানো হয়৷ এরপর পাঁচ বছরের শিশুটির জ্ঞান ফেরেনি৷ ৭ জানুয়ারি রাতে আয়ান মারা যায়৷ এরপর ওই হাসপাতালের দুই চিকিৎসক ও পরিচালকসহ আরো কয়েকজনকে আসামি করে বাড্ডা থানায় মামলা করেন আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম ওই মামলার পর হাসপাতালটি পরিদর্শন করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কোনো লাইসেন্স দেখাতে না পারায় হাসপাতালটি বন্ধ করে দেয়৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. মনিরুল আহসান ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘তারা লাইসেন্স ছাড়াই হাসপাতালটি চালু করেছিলেন৷”
ওই হাসপাতালের ম্যানেজার ( জনসংযোগ) আরিফুল হক স্বীকার করেন তাদের লাইসেন্স নেই৷ তবে তার দাবি লাইসেন্সের আবেদন করা হয়েছে৷ আবেদন করেই হাসপাতাল বা ক্লিনিক চালু করে দেয়া বেআইনি বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক৷ তিনি বলেন, ‘‘দেশে বেসরকারি অবৈধ ক্লিনিক বা হাসপাতালের বড় একটি অংশ এভাবেই চলছে৷”
মঙ্গলবার সকালে শিশু আয়ানের বাবা শামীম আহমেদসহ পরিবারের তিন সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামান্ত লাল সেনের সঙ্গে দেখা করেন৷ স্বাস্থ্যমন্ত্রী তখনই দেশের সব অবৈধ ক্লিনিক ও হাসপাতাল বন্ধ করার নির্দেশ দেন৷ আয়ানের বাবা বলেন, ‘‘স্বাস্থ্যমন্ত্রী আমাদের বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন৷ তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরই দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলেছেন৷ কিন্তু মামলার পর এখনো দায়ী চিকিৎসক ও নার্সদের গ্রেপ্তার করা হয়নি৷ আর হাসপাতালটি বাইরে থেকে বন্ধ রাখলেও ভিতরে কী হচ্ছে জানি না৷ সেখানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না৷ সাংবাদিকরা ঢুকতে চাইলে তাদের ওপর হামলাও হয়৷”
দেশজুড়ে অবৈধ হাসাপাতাল ও ক্লিনিক
সারা দেশে কতগুলো অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিক আছে তার হিসাব নেই স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে৷ তারা ২০২২ এবং২০২৩ সালে অভিযান চালিয়ে মোট দুই হাজারের বেশি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করা হয়৷ এর মধ্যে ২০২২ সালের মে মাসে চার দিনের বিশেষ অভিযানে এক হাজার ১৪৯টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়৷ এর মধ্যে ঢাকা বিভাগ ও শহরে ২৯৬টি ৷ ঢাকার বাইরে বন্ধ করা ৮৬৩টির মধ্যে চট্টগ্রামে ২৮৬টি, রাজশাহীতে ১৩৫টি, রংপুরে ১৪টি, ময়মনসিংহে ১২১টি, বরিশালে ৬৫টি, সিলেটে ৩৫টি এবং খুলনায় ৩০৩টি৷
মঙ্গলবার সাভার ও ময়মনসিংহসহ কয়েক জায়গায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সেগুলোর অধিকাংশই আবার চালু হয়েছে৷ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. মো. মনিরুল আহসান বলেন, ‘‘যেগুলো বন্ধ করা হয়েছে তার মধ্যে লাইসেন্সপ্রাপ্তও আছে৷ তাদের যে ত্রুটি ছিল তারা তা ঠিক করায় আবার চালু হয়েছে৷ আর অবৈধগুলো কিভাবে চালু হয় আমরা বলতে পারবো না৷ এগুলো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দেখার কথা৷ আর আমরা তো বন্ধ করতে পারি না৷ আমরা ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে বন্ধ করি আদালতের সহায়তায়৷ তারা আবার আদালতে যায়৷ অনেকের লাইসেন্সের আবেদন করা আছে বা ট্রেড লাইসেন্স আছে এসব দেখিয়ে আবার চালু করে৷”
দেশে নিবন্ধিত বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন ১৫ হাজার ৫০০৷ গত বছরের প্রথম দিকে এই সংখ্যা ছিল ১২ হাজার৷ এক বছরেই বেড়েছে সাড়ে তিন হাজার৷ কিন্তু অবৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল কতগুলো তার হিসাব নেই৷ তার হিসাব বুঝতে কয়েকটি নমুনা দেয়া যাক৷ ঢাকার সাভারে নিবন্ধিত ক্লিনিক ৩০টি৷ কিন্তু সেখানে বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতাল ও স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান আছে কমপক্ষে ২০০৷ সাভারের বেবসরকারি ক্লিনিক ও হাসপতাল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ওয়াকিলুর রহমান বলেন, ‘‘এখানে অবৈধদের দাপট বেশি৷ আমরা অবৈধ ক্লিনিকের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে দেয়ার পরও তেমন ব্যবস্থা নিতে দেখি না৷ মাঝেমধ্যে অভিযান চললেও আবার সব স্বাভাবিক হয়ে যায়৷ তাদের সঙ্গে উপরের যোগাযোগ আছে৷ ওইসব ক্লিনিকে প্রায়ই ভুল চিৎসার খবর পাওয়া যায়৷ মৃত্যুর ‘অভিযোগ'ও পাওয়া যায়৷”
ময়মনসিংহে নিবন্ধিত ক্লিনিকের সংখ্যা ১২০টি৷ কিন্তু সেখানে চালু আছে কমবেশি ৩০০৷ ক্লনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. তারা গুলন্দাজ বলেন, ‘‘এখানে অনেক মানহীন এবং অবৈধ ক্লিনিক আছে৷” কুমিল্লায় নিবন্ধিত ক্লিনিকের সংখ্যা ৪০৪টি৷ কিন্তু বাস্তবে আছে এক হাজার ২০০৷’’
বাংলাদেশে বৈধ ক্লিনিক ও হাপপাতালের চেয়ে অবৈধর সংখ্যা দুই গুনের বেশি হবে বলে মনে করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক এক পরিচালক৷ তিনি বলেন, ‘‘ওইসব নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমি বিপদে পড়েছি৷ অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে৷ তাদের যোগাযোগ অনেক উপরে৷ এ নিয়ে এখন আর কথা বলতে চাই না৷ অবসরে আছি৷ নতুন করে ঝামেলায় পড়তে চাই না৷”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বর্তমান পরিচালক ডা. মো. মনিরুল আহসান বলেন, ‘‘অবৈধ ক্লিনিক নিয়ে আমরা কোনো জরিপ করিনি৷ তবে আমরা গত দেড়-দুই বছরে আটশ 'র মতো অবৈধ ক্লিনিক পেয়েছি৷ তাদের অধিকাংশই আবেদন করে বা ট্রেড লাইসেন্স দিয়ে ক্লিনিক চালাচ্ছিল৷ এবার হাইকোর্ট আদেশ দিয়েছে৷ তাই আমরা একটা জরিপ করবো৷”
‘‘আর অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করি৷ তারপরও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশ আমরা পেয়েছি৷ বড় অভিযান শুরু করবো,” বলেন এই কর্মকর্তা৷
বৈধগুলোর অবস্থা
হাসপাতাল বা ক্লিনিকের লাইসেন্স পেতে কিছু শর্ত পূরণ করতে হয়৷ ১০ শয্যার একটি ক্লিনিকের লাইসেন্স পেতে হলে ওই ক্লিনিকে কমপক্ষে তিনজন এমবিবিএস ডাক্তার, ছয়জন নার্স ও দুইজন ক্লিনার থাকতে হবে৷ প্রত্যেকটি বেডের জন্য কমপক্ষে ৮০ বর্গফুট জায়গা থাকতে হবে৷ অপারেশন থিয়েটার হতে হবে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত৷ সেইসঙ্গে আধুনিক যন্ত্রপাতি যা থাকতে হবে তার একটি তালিকাও দেওয়া আছে৷ এর সঙ্গে থাকতে হবে ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন নম্বর, বিআইএন নম্বর, পরিবেশ ও নারকোটিকস বিভাগের লাইসেন্স৷ তবে আউটডোর, জরুরি বিভাগ ও অপারেশন থিয়েটার সব ক্লিনিকের জন্য বাধ্যতামূলক নয়৷ হাসপাতালের ধরন অনুযায়ী শর্ত নির্ধারণ করা হয়৷
বাংলাদেশের জেলা, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ে যেসব বৈধ বেসরকারি ক্লিনিক ও হাসপাতাল আছে তার অধিকাংশই ১০ বেডের লাইসেন্স দিয়ে চলছে৷ কিন্তু যেসব শর্তের কথা বলা হয়েছে বাস্তবে তা নেই৷ পর্যাপ্ত চিকিৎসক নেই, টেকনিশিয়ান নেই, কয়েকজন নার্স দিয়ে চালানো হয়৷ আবার নার্সরাও রেজিষ্টার্ড নয়৷ তাহলে ওইসব হাসপাতাল লাইসেন্স পায় কীভাবে? এ নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক) ডা. আমিনুল হাসান বলেন, ‘‘লাইসেন্স দেয়ার আগে হাসপাতাল ভিজিটে যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিম৷ এটা আগেই তাদের জানিয়ে যাওয়া হয়৷ ওই ক্লিনিকের লোকজন তখন এমবিবিএস ডাক্তার, রেজিষ্টার্ড নার্স এবং যন্ত্রপাতি ভাড়া করে আনে৷ বেডগুলোর দূরত্ব ঠিক রাখা হয়৷ টিম চলে গেলে বেড আরো বাড়ানো হয়৷ আর ডাক্তাররা তো থাকেন না, ফলে মানহীন হাসপাতাল লাইসেন্স পায়৷ পরে এগুলো যে সেগুলো পরিদর্শন করা হবে সেই লোকবল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নাই৷”
বাংলাদেশ বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টার মালিক সমিতির সভাপতি ডা. মো. মনিরুজ্জামান বলেন, "সারা দেশে লাইসেন্সপ্রাপ্ত বেসরকারি ক্লিনিক, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সাড়ে ১৫ হাজার হলেও আমাদের সদস্য ১২ হাজার৷ লাইসেন্স নাই এবং মানহীন কোনো স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানকে আমরা সদস্য করি না৷”
তার কথা, ‘‘আমরাও চাই অবৈধ হাসাপাতাল ও ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হোক৷ মানহীনগুলোও বন্ধ করা হোক৷ কিন্তু তারপরও আছে কীভাবে তা স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনি বলতে পারবে৷”
চিকিৎসকেও আসল-নকল
বাংলাদেশে জেলা উপজেলা তো বটেই খোদ ঢাকা শহরেও অনেক ভুয়া চিকিৎক আছেন৷ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে মাঝেমধ্যে তারা ধরাও পড়েন৷ কিন্তু তারপরও তাদের দমানো যায় না৷ এই ভুয়া চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন করতে গিয়ে গত বছর ঢাকায় একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাংবাদিক হামলারও শিকার হয়েছেন৷ তবে সবচেয়ে আতঙ্কের কথা হলো বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএসডিসি) থেকে জালিয়াতি করে চিকিৎসক সনদ নেয়ার ঘটনাও ধরা পড়েছে৷ এরকম ১২ জন ভুয়া চিকিৎসকের সনদ নেয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে ২০২২ সালে৷ বাংলাদেশে এখন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের সংখ্যা ৮০ হাজারের মতো৷
বিএমডিসির ষ্ট্যান্ডিং রিকগনিশন কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বলেন, ‘‘এখন তো অনেক ভুয়া ডাক্তার ৷ ভুয়া ডাক্তারদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়ার এখতিয়ার বিএমডিসির নেই৷ এটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ৷”
তিনি বলেন, "তবে নিবন্ধন নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতি হলে সেটা দেখা বিএমডিসির কাজ৷ যেমন কোনো চিকিৎসক মারা গেলে তার নামে ভুয়া নিবন্ধন অন্যজন নিয়েছেন এমন হয়েছে৷ আবার একই নামে আরেকজন ভুয়া ডাক্তারও নিবন্ধন নিয়েছেন এরকম ঘটনাও ধরা পড়েছে৷ আরেকটি বড় বিষয় হলো অনেক চিকিৎসক বিএমডিসির নিবন্ধন না নিয়েই চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন৷ তাদের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেয়া উচিত বিএমডিসির৷ তারা তো নিবন্ধন ছাড়া চিকিৎসা সেবা দিতে পারেন না৷ এটা বেআইনি৷”
তিনি আরেক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘বিএমডিসির নিবন্ধন আগে কেউ কেউ নবায়ন করতেন না, অনীহা ছিল৷ এখন এটা কঠোর করা হয়েছে৷ নবায়ন না করা হলে ব্যবস্থা নেয়া হয়৷ আর অনলাইনেই নবায়ন করা যায়৷”