ইংল্যান্ড বনাম নিউজিল্যান্ড : ইতিহাস কার পক্ষে?

এবারের আসরেই গ্রুপপর্বে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়েছে ইংল্যান্ড৷ তাতে অবশ্য মর্গানদের খুব বেশি আশাবাদী হবার সুযোগ নেই৷ বিশ্বকাপের্ ইতিহাস কিন্তু নিউজিল্যান্ডের পক্ষে৷ এ পর্যন্ত বিশ্বকাপে নয়টি ম্যাচ হয়েছে দু দেশের মধ্য৷ ছয়টিতে জিতেছে নিউজিল্যান্ড আর তিনটিতে ইংল্যান্ড৷

কিথ ফ্লেচারের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির (অপরাজিত ১৩১) সুবাদে ৬০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬৬ রান করেছিল ইংল্যান্ড৷ জবাবে মাত্র ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে যায় নিউজিল্যান্ড৷ ম্যান অব দ্য ম্যাচ কিথ ফ্লেচার৷

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেবারই প্রথম উঠেছিল ফাইনালে৷ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে মাত্র ৯ রা্নে হারিয়েছিল তারা৷ স্কোর ইংল্যান্ড ৬০ ওভারে ২২১/৮, নিউজিল্যান্ড ২১২/৯৷ ৭১ রান করে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ (ওপরের ছবি)৷

অ্যালান ল্যাম্বের সেঞ্চুরি ৩২২ রানের বিশাল স্কোর এনে দেয় ইংল্যান্ডকে৷ জবাবে মাত্র ২১৬ রানে গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড৷ ফল: ইংল্যান্ড ১০৬ রানে জয়ী৷

তবে এবারের মতো বিশ্বকাপের সেই আসরেও প্রত্যেক দল পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছিল দুইবার করে৷ সুবাদে প্রতিশোধের সুযোগ পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড৷ সেই ম্যাচে ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ২৩৪ রানে৷ সেই রান টপকাতে গিয়ে ৮ উইকেট খুইয়ে বসে নিউজিল্যান্ড৷ এক বল বাকি থাকতে শেষ হওয়া ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন ৬৬ রানের ইনিংস খেলা জেরেমি কোনি৷

আগে ব্যাট করে ৫০ ওভারে মাত্র ২০০ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড৷ সাত উইকেটে ম্যাচ জিততে নিউজিল্যান্ডের কোনো অসুবিধা হয়নি৷

নাথান অ্যাস্টলের সেঞ্চুরির ওপর ভিত্তি করে ৬ উইকেটে ২৩৯ রান করে্ কিউইরা৷ জবাবে ২২৮ রানে গুটিয়ে যায় ইল্যান্ড৷

আগে ব্যাট করে মাত্র ২০৯ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংল্যান্ড৷ নয় ওভার বাকি থাকতে ৪ উইকেট হারিয়ে সেই স্কোর পেরিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড৷ ফল: নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে জয়ী

টিম সাউদি ৩৩ রানে সাত উইকেট নেয়ায় মাত্র ১২৩ রানে শেষ হয়েছিল ইংল্যান্ডের ইনিংস৷ মাত্র ১২.২ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে সেই রান টপকে যায় নিউজিল্যান্ড৷

চলতি আসরে গ্রুপ পর্বে নিউজিল্যান্ডকে দাঁড়াতেই দেয়নি ইংল্যান্ড৷ জনি বেয়ারস্টের সেঞ্চুরি (১০৬) আর জেসন রয়ের ফিফটির (৬০) সুবাদে ৮ উইকেটে ৩০৬ রান তোলে মর্গ্যানের দল৷ জবাবে ১৮৬ রানে অলআউট হয়ে ১১৯ রানে হার মেনে নেয় ব্ল্যাকক্যাপরা৷