1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইইউ-র মর্যাদা কমানোর কারণ জানতে চিঠি

১৮ জানুয়ারি ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ'র রাষ্ট্রদূত ডেভিড ও’সুলিভানের মর্যাদা কেন কমানো হয়েছে, তা জানতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে চিঠি দিয়েছেন কংগ্রেসের ২৭ জন ডেমোক্র্যাট সদস্য৷

https://p.dw.com/p/3BlKh
ছবি: Getty Images/T. Charlier

৩০ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর জানাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে৷

আঠাশ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইইউর রাষ্ট্রদূত ও’সুলিভান ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের সমান মর্যাদা পেতেন৷ কিন্তু সম্প্রতি তাঁর মর্যাদা কমিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে এই পরিবর্তন সম্পর্কে মার্কিন কংগ্রেস ও ইইউকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি৷

ডয়চে ভেলে ৮ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করে৷ এতে বলা হয়, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইইউ'র রাষ্ট্রদূত ও'সুলিভানকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিষয়টি প্রথম ইইউ'র নজরে আসে৷ এরপর ৫ ডিসেম্বর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ.ডাব্লিউ বুশের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজকরা ইইউর মর্যাদা কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷

Screenshot vom Brief der Demokratischen Kongressmitglieder an Pompeo
পম্পেওকে দেয়া চিঠিছবি: Democratic Party

ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইইউর এক সদস্য দেশের একজন কূটনীতিক সেই সময় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে ইইউ কূটনীতিকরা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন৷ ‘‘তাঁরা আমাদের বলেছেন যে, তাঁরা আমাদের জানাতে ভুলে গেছেন৷ এবং তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ চিফ অফ প্রটোকল মনে করেন, এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত,’’ বলেন ঐ কূটনীতিক৷

এদিকে ডয়চে ভেলেতে খবর প্রকাশের পরদিন ইইউ সাংসদরা এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন৷ এছাড়া পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী আগে ইইউ রাষ্ট্রদূত ও'সুলিভান কিংবা ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ফেডেরিকা মোগেরিনিকে না জানানোর বিষয়টিরও সমালোচনা করেন তাঁরা৷ হোয়াইট হাউসের এ ধরনের সিদ্ধান্ত ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্কের জন্য ‘ক্ষতিকর’ বলে মনে করছেন ইইউ সাংসদরা৷ এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কংগ্রেসের সহায়তা কামনা করেন তাঁরা৷

এরপরই কংগ্রেসের ২৭ ডেমোক্র্যাট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন৷ এতে এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি ৩০ জানুয়ারির মধ্যে চারটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে৷ জানতে চাওয়া হয়েছে– কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কংগ্রেসকে কেন জানানো হয়নি, মর্যাদার বিষয়টি কীভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসনে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে৷

মিশায়েল ক্নিগে/জেডএইচ