ইইউ-র মর্যাদা কমানোর কারণ জানতে চিঠি
১৮ জানুয়ারি ২০১৯৩০ জানুয়ারির মধ্যে উত্তর জানাতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে৷
আঠাশ দেশের সমন্বয়ে গঠিত ইইউর রাষ্ট্রদূত ও’সুলিভান ২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো দেশের রাষ্ট্রদূতের সমান মর্যাদা পেতেন৷ কিন্তু সম্প্রতি তাঁর মর্যাদা কমিয়ে আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের কাতারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ তবে এই পরিবর্তন সম্পর্কে মার্কিন কংগ্রেস ও ইইউকে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি৷
ডয়চে ভেলে ৮ জানুয়ারি এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করে৷ এতে বলা হয়, গত বছরের শেষ দিকে কয়েকটি অনুষ্ঠানে ইইউ'র রাষ্ট্রদূত ও'সুলিভানকে আমন্ত্রণ না জানানোয় বিষয়টি প্রথম ইইউ'র নজরে আসে৷ এরপর ৫ ডিসেম্বর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচ.ডাব্লিউ বুশের শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আয়োজকরা ইইউর মর্যাদা কমানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷
ওয়াশিংটনে নিযুক্ত ইইউর এক সদস্য দেশের একজন কূটনীতিক সেই সময় ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে ইইউ কূটনীতিকরা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যোগাযোগ করেছেন৷ ‘‘তাঁরা আমাদের বলেছেন যে, তাঁরা আমাদের জানাতে ভুলে গেছেন৷ এবং তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কারণ চিফ অফ প্রটোকল মনে করেন, এটাই ঠিক সিদ্ধান্ত,’’ বলেন ঐ কূটনীতিক৷
এদিকে ডয়চে ভেলেতে খবর প্রকাশের পরদিন ইইউ সাংসদরা এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন৷ এছাড়া পরিবর্তন আনার বিষয়টি নিয়ম অনুযায়ী আগে ইইউ রাষ্ট্রদূত ও'সুলিভান কিংবা ইইউর পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিশনার ফেডেরিকা মোগেরিনিকে না জানানোর বিষয়টিরও সমালোচনা করেন তাঁরা৷ হোয়াইট হাউসের এ ধরনের সিদ্ধান্ত ট্রান্স-আটলান্টিক সম্পর্কের জন্য ‘ক্ষতিকর’ বলে মনে করছেন ইইউ সাংসদরা৷ এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন কংগ্রেসের সহায়তা কামনা করেন তাঁরা৷
এরপরই কংগ্রেসের ২৭ ডেমোক্র্যাট মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন৷ এতে এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করার পাশাপাশি ৩০ জানুয়ারির মধ্যে চারটি প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয়েছে৷ জানতে চাওয়া হয়েছে– কেন এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, কংগ্রেসকে কেন জানানো হয়নি, মর্যাদার বিষয়টি কীভাবে পর্যালোচনা করা হয়েছে এবং কীভাবে ট্রাম্প প্রশাসনে এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন পেয়েছে৷
মিশায়েল ক্নিগে/জেডএইচ