ইউক্রেন সংকট: উত্তেজনা কমবে, আশাবাদী মাক্রোঁ
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুটিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এমানুয়েল মাক্রোঁ। মঙ্গলবার ইউক্রেনে গিয়ে তিনি দেখা করেছেন দেশের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে। ইউক্রেনকে তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে পিছু হঠতে রাজি হয়েছেন পুটিন। উত্তেজনা প্রশমনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জবাবে মাক্রোঁর পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন জেলেনস্কি। একইসঙ্গে বলেছেন, পুটিনের পদক্ষেপের দিকে তারা নজর রেখেছেন। তিনি যা বলছেন তা সত্য, না কি এর পিছনে অন্য খেলা আছে, ইউক্রেন সে দিকে নজর রেখেছে।
পুটিনের সঙ্গে প্রায় পাঁচ ঘণ্টার বৈঠক করেছিলেন মাক্রোঁ। জেলেনস্কির সঙ্গেও দীর্ঘ বৈঠক করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, পুটিন ২০১৫ সালের মিনস্ক চুক্তিকে গুরুত্ব দেন। ওই চুক্তি যাতে রক্ষিত হয়, সে দিকে লক্ষ্য রেখেছে রাশিয়া। বস্তুত, ক্রাইমিয়ার যুদ্ধ বন্ধ করতে এবং পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে মিনস্কের চুক্তি সই হয়েছিল। ইউক্রেন এবং রাশিয়া দুই তরফই স্থিতাবস্থার প্রস্তাবে সায় দিয়েছিল। এবারেও যাতে সেই চুক্তি রক্ষিত হয়, তা নিয়ে রাশিয়ার উপর চাপ সৃষ্টি করেছে ফ্রান্স। পুটিন তাতে সম্মত হয়েছেন বলে মাক্রোঁর দাবি।
মাক্রোঁর সঙ্গে জেলেনস্কির বৈঠকের ঠিক আগে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি বিবৃতি পেশ করেছেন। যাতে বলা হয়েছে, তারা বৈঠকে আগ্রহী। কিন্তু ইউক্রেন কখনোই আপসের লাল রেখা পার করবে না। অর্থাৎ, চাপের মুখে রাশিয়ার আগ্রাসন তারা মেনে নেবে না।
মাক্রোঁর সামনে জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব তার কাছে সবচেয়ে জরুরি বিষয়। তার সঙ্গে কোনোরকম আপস করা সম্ভব হবে না। মাক্রোঁ জানিয়েছেন, পুটিনের সঙ্গে তার কথা আশাপ্রদ হয়েছে। পুটিনকে তিনি বলেছেন, বেলারুশে রাশিয়ার স্থায়ী সেনা ছাউনি বানানো যাবে না। বস্তুত, বেলারুশে প্রায় ৩০ হাজার সেনা পাঠিয়ে রেখেছে রাশিয়া। কৃষ্ণসাগরেও রাশিয়ার নৌবহর পৌঁছে গেছে। রাশিয়াকে এই সবকিছুই ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেছেন মাক্রোঁ। প্রাথমিকভাবে রাশিয়া তাতে সম্মত হয়েছে বলে মাক্রোঁর দাবি। জেলেনস্কিকে মাক্রোঁ জানিয়েছেন, অতি দ্রুত নর্ম্যান্ডি রাষ্ট্রগুলিকে নিয়ে বৈঠক হবে। এই রাষ্ট্রগুলিই মিনস্ক প্রোটোকলে অংশ নিয়েছিল।
এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)