রুশ সেনা চাপে ফেলছে ন্যাটোকে
১৬ নভেম্বর ২০২১সোমবার ন্যাটোর সেক্রেটারি জেনারেল ইয়েনস স্টোলটেনবের্গ ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সামরিক উপস্থিতি বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন৷ যদি কিয়েভের ওপর কোনো আঘাত আসে, সেক্ষেত্রে ন্যাটো ইউক্রেনের পাশে থাকবে বলেও জানান তিনি৷
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ডিমিত্রো কুলেবার সাথে সাক্ষাতের পর স্টোলটেনবের্গ বলেন, ‘‘ন্যাটো এই মুহূর্তে সতর্ক রয়েছে৷ আমরা খুব গভীরভাবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি৷ যদি রাশিয়ার তরফে কোনো উসকানি বা আগ্রাসী পদক্ষেপ দেখা যায়, সেক্ষেত্রে তা গুরুতর ফলাফল বয়ে আনবে৷ আমরা রাশিয়াকে আহ্বান জানাচ্ছি নিজেদের সামরিক কর্মকাণ্ড বিষয়ে আরো স্বচ্ছ হতে৷''
ইউক্রেনের বয়ান অনুযায়ী, রাশিয়ার সাথে দেশটির সীমান্তে বর্তমানে মোতায়েন আছে প্রায় এক লাখ রুশ সামরিক বাহিনীর সদস্য, যা ‘বিপজ্জনক' দিকে যেতে পারে বলে মনে করছেন স্টোলটেনবের্গ৷
এবিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘অস্বাভাবিক হারে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে সেখানে৷ আমরা জানি যে, রাশিয়া এর আগেও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে এই ধরনের আগ্রাসী সামরিক পদক্ষেপ নিতে চেয়েছে৷''
একজোটে জার্মান, ফরাসি ও ইউক্রেনের নেতৃত্ব
ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতের পর দেশটির পক্ষে তাদের অবস্থান ঘোষণা করে জার্মান ও ফরাসি পররাষ্ট্র মন্ত্রীরা একটি যৌথ বিবৃতি দেন৷ ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক৷
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘ইউক্রেনের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও অখণ্ডতার প্রশ্নে ফ্রান্স ও জার্মানি তাদের সমর্থন অক্ষুণ্ণ রাখবে৷''
পাশাপাশি, রাশিয়াকে তার সামরিক আচরণে রাশ টানতেও বলে এই বিবৃতি৷
সোমবার জার্মান পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র ক্রিস্টোফার বুর্গার সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘যে পরিস্থিতি ইতোমধ্যে জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে, তাকে আরো গুরুতর না করতে রাশিয়াকে সামরিক নিয়ন্ত্রণ দেখাতে আহ্বান জানাচ্ছি আমরা৷''
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের মুখপাত্রও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন৷ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলির ধারণা, ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে সাম্প্রতিক এই সামরিক অভিযানের ফলে৷ নতুন করে ইউক্রেনের মাটিতে রুশ সেনার প্রবেশ ঘটতে পারে বলে তাদের আশঙ্কা৷
এসএস/কেএম (এএফপি, এপি)