1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

ইউক্রেনে বাংলাদেশি জাহাজে গোলা, মৃত এক

৩ মার্চ ২০২২

ইউক্রেনের একটি বন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি জাহাজে গোলার আঘাত। একজন প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে।

https://p.dw.com/p/47vgo
ইউক্রেন
ছবি: Christophe Forestier/abaca/picture alliance

ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে দাঁড়িয়ে ছিল বাংলাদেশের জাহাজ এমভি বাংলার সমৃদ্ধি। ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরু হওয়ার পর আটকে পড়েছিল জাহাজটি। বুধবার ইউক্রেনের সময় বিকেল নাগাদ জাহাজটিতে রাশিয়ার ছোঁড়া একটি গোলা এসে লাগে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। তারই জেরে জাহাজে আগুন লেগে যায়। মৃত্যু হয় এক প্রকৌশলীর। তার নাম হাদিসুর রহমান। তিনি জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন।

বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের (বিএসসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছেন, ''ওই জাহাজে একটা শেল হিট করেছে। সেটা ব্রিজেই বিস্ফোরিত হয়। সেখানে কর্মরত থাকা অবস্থায় জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমান মারা গেছেন। জাহাজের বাকি ২৮ জন অক্ষত আছেন। আগুন নেভানো হয়েছে।''

জাহাজে পর্যাপ্ত খাবার এবং রসদ আছে বলে জানিয়েছে বিএসসি। ওই জাহাজের অন্য নাবিক এবং প্রকৌশলীদের খবর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা নিয়েছেন বলে বিএসসি জানিয়েছে।

জাহাজে আগুন লাগার পর 'আমাদের বাঁচান' বলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন কর্মীরা। বাংলার সমৃদ্ধিতে অবস্থান করা নাবিক আতিকুর রহমান মুন্না তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, 'জাহাজে রকেট হামলা হয়েছে। একজন মারা গেছেন।'

কুর্দস গ্লোবাল নামের একটি ফেসবুক পেজে আসা ভিডিওতে একটি জাহাজে বিস্ফোরণ ও আগুন ধরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। ইউক্রেনের সমুদ্র বন্দর কর্তৃপক্ষের বরাতে ওই ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, 'একটি রকেট আঘাত হানার পর ৩৬৩ নম্বর অ্যাঙ্করেজে থাকা বাংলার সমৃদ্ধিতে আগুন ধরে যায়। পরে বন্দর থেকে দুটি টাগবোট পাঠানো হয় সেখানে।'

গত ২৬ জানুয়ারি ভারতের মুম্বই বন্দর থেকে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। তুরস্কের একটি বন্দরে পণ্য নামিয়ে জাহাজটি ইউক্রেন গিয়েছিল। তারপরেই লড়াই শুরু হয়ে যাওয়ায় ইউক্রেনের বন্দর ছেড়ে আর বের হতে পারেনি জাহাজটি।

এসজি/জিএইচ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)