1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউক্রেনের ক্র্যামাতোর্স্কে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলা

২৮ জুন ২০২৩

ঘটনায় এখনো পর্যন্ত অন্তত চারজনের মৃত্যু হয়েছে। অ্যামেরিকায় জরুরি সফর জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।

https://p.dw.com/p/4T8oi
ইউক্রেন
ছবি: Oleksandr Ratushniak/REUTERS

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দৈনিক ভিডিওবার্তায় ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, পূর্ব ইউক্রেনের ক্র্যামাতোর্স্কে ভয়াবহ আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ার মিসাইল হামলায় এক শিশু-সহ অন্তত চারজন নিহত। আহত অন্তত ৪০।

জেলেনস্কির ভাষায়, ''রাশিয়ার সন্ত্রাসীরা ফের ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বেসামরিক মানুষের উপর। যুদ্ধের সমস্ত নিয়ম তারা ক্রমাগত লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।'' রাশিয়ার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক মঞ্চে বিশেষ ট্রাইবুনাল তৈরির আর্জি জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। সেখানে রাশিয়ার বিরুদ্ধে সমস্ত যুদ্ধাপরাধের মামলা তোলার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

এদিনের হামলা নিয়ে রাশিয়া অবশ্য এখনো পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করেনি। অন্যদিকে ইউক্রেনের দাবি, তাদের সেনা এখনো পূর্ব এবং দক্ষিণ ইউক্রেনে ফ্রন্ট লাইনে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। তারা ফ্রন্টলাইনে বেশ খানিকটা অগ্রসর হতে পেরেছে।

জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী

এই প্রথম জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী বরিস পিস্টোরিয়াস বুধবার অ্যামেরিকা সফরে যাচ্ছেন। সেখানে মার্কিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসবেন তিনি। বৈঠকে মূল আলোচনার বিষয় ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা। বস্তুত, ইতিমধ্যেই অ্যামেরিকা ইউক্রেনের জন্য আরো ৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সাহায্য ঘোষণা করেছে। যার মধ্যে ব্র্যাডলি এবং স্ট্রাইকার আর্মার্ড সামরিক গাড়ি দেয়া হবে। হাইমারস রকেট সিস্টেমও দেয়া হবে। ইউক্রেনকে আর কী কীভাবে সাহায্য করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা করবেন দুই মন্ত্রী। অন্যদিকে, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক সাউথ আফ্রিকার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনায় বসতে।

জেলেনস্কির পদক্ষেপ

এদিকে, মঙ্গলবার রাতেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশের রাষ্ট্রীয় অস্ত্র প্রস্তুকারক সংস্থার প্রধানকে বরখাস্ত করেছেন। দেশের সংবাদমাধ্যমগুলি জানাচ্ছে, জেলেনস্কির অভিযোগ, চাহিদামতো ব্যালেস্টিক মিসাইল সরবরাহ করতে পারছে না সংস্থাটি। সে কারণেই সংস্থার প্রধানকে সরানো হয়েছে। মিসাইলের বিষয়ে ইউক্রেন সম্পূর্ণভাবে পশ্চিমা দেশগুলির উপর নির্ভরশীল। জেলেনস্কি সেই নির্ভরশীলতা কমাতে চাইছেন। দেশের মধ্যেই ব্যালেস্টিক মিসাইলের উৎপাদন বাড়াতে চাইছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত তা সম্ভব হয়নি।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এএফপি, এপি)