ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফল চ্যালেঞ্জ করছেন টিমোশেঙ্কো
৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামান্য ব্যবধানে জয়লাভ করলেন বিরোধী কমিউনিস্ট নেতা ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ৷ ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ইতিহাসে পশ্চিমা বিশ্বের ঘনিষ্ঠ নেতৃত্বের যে সাফল্য দেখা যাচ্ছিল, রাশিয়াপন্থী এই নেতার জয়ের ফলে তাতে বিঘ্ন ঘটল৷
প্রতিক্রিয়া
প্রায় ৯৮ শতাংশ ভোট গণনার পর নির্বাচন কমিশন সোমবার জানিয়েছে, যে ইয়ানুকোভিচ ৪৮.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছেন৷ তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইয়ুলিয়া টিমোশেঙ্কো পেয়েছেন ৪৫.৮ শতাংশ৷ ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা সংগঠন ওএসসিই-র পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, নির্বাচন পর্বে যথেষ্ট স্বচ্ছতা দেখা গেছে, অনিয়মের কোন ঘটনা তাদের চোখে পড়ে নি৷
ইউক্রেনের রাজনীতির গতিপথ
ইউক্রেনে গণতন্ত্র চালুর লগ্ন থেকেই পশ্চিমা ও রাশিয়াপন্থী দুই শিবিরের মধ্যে সংঘাত চলে আসছে৷ দেশের পশ্চিমাংশে ইউরোপ ও পশ্চিমা বিশ্বের সঙ্গে সমন্বয়ের পক্ষে বেশী মানুষের সমর্থন দেখা যায়৷ অন্যদিকে পূর্বাংশের মানুষ ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক কারণে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ৷ ২০০৪ সালে ‘কমলা বিপ্লব' বলে পরিচিত আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল পশ্চিমাপন্থী শিবির৷ সেসময়ে নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির মাধ্যমে ইয়ানুকোভিচের জয় হয়েছিল, এই অভিযোগে হাজার-হাজার মানুষ পথে নেমে নতুন করে নির্বাচন আয়োজন করতে বাধ্য করে৷ ভোটগনণার পর দেখা যায়, জয় হয়েছে পশ্চিমাপন্থী নেতা ভিক্টর ইয়ুশচেঙ্কোর৷ সেসময়ে ইয়ুশচেঙ্কোর শিবিরেই ছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী টিমোশেঙ্কো৷ তারপর দুই নেতার মধ্যে চরম বিরোধের ফলে তাঁদের পথ আলাদা হয়ে যায়৷ এবারে প্রার্থিত্বের দৌড়ে নামলেও নির্বাচনের প্রথম পর্যায়েই বিদায় নিতে হয় ইয়ুশচেঙ্কোকে৷ সোমবারের ফলাফলের পর সেই ‘কমলা বিপ্লব' শেষ হল বলা চলে৷ তবে মাত্র ৩ শতাংশের ব্যবধানে ইয়ানুকোভিচের এই জয়কে কেন্দ্র করে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠতে পারে, যেমনটা টিমোশেঙ্কো শিবিরের প্রতিক্রিয়ায় দেখা যাচ্ছে৷
প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন, সম্পাদনা: আবদুল্লাহ আল ফারূক