ইউক্রেনের সুমি থেকে ছাত্রছাত্রীদের ফেরানো বড় চ্যালেঞ্জ
৭ মার্চ ২০২২সুমি শহরে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনার মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। আর মেডিকেল কলেজের হস্টেলে আটকা পড়েছেন সাতশ ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। তাদের খাবার ফুরিয়ে এসেছে। জল নেই। বরফ গলিয়ে তারা জল খাচ্ছেন। তার উপর ভয়ংকর ঠান্ডা। সেই সঙ্গে আছে প্রবল মানসিক চাপ। সবমিলিয়ে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীরা খুবই আশঙ্কাজনক অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
সুমিতে লড়াই চলছে বলে ভারতীয় দূতাবাস ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধার করতে পারছে না। ভারতীয় দূতাবাসের কর্মীরা সুমি থেকে তিন ঘণ্টা দূরের শহর পলটাভাতে আছেন। তারা সেখান থেকে ছাত্রছাত্রীদের উদ্ধারের চেষ্টা করছেন।
এখান থেকে রাশিয়ার সীমান্ত ৫০ কিলোমিটার দূরে। ছাত্রছাত্রীরা প্রথমে ভেবেছিলেন, তারা সেই সীমান্ত পেরিয়ে রাশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করবেন। কিন্তু দূতাবাসের তরফ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, ওই ঝুঁকিপূর্ণ সফরে না যেতে। দূতাবাসের তরফে চেষ্টা করা হচ্ছে, পলটাভা হয়ে পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের ইউক্রেন থেকে বের করে আনতে। তাদের বলা হয়েছে, তারা যেন তৈরি থাকেন। খুব কম সময়ের নোটিশে তাদের পলটাভাতে আনার ব্যবস্থা করা হবে।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সুমিতে সমানে গোলাবর্ষণ করছে রাশিয়া। তার উপর যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। ভারতের তরফ থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনকে বারবার অনুরোধ করা হয়েছে, ওই এলাকায় যেন তারা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়। তাহলে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের দ্রুত বের করে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দেয়া সম্ভব হবে।
সর্বশেষ পরিস্থিতি
সংবাদসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স জানিয়েছে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁর অনুরোধের পর রাশিয়া চারটি শহরে সংঘর্ষবিরতির ঘোষণা করেছে। সোমবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আটকে পড়া বিদেশিরা যাতে লড়াইয়ের জায়গা থেকে বেরিয়ে যেতে পারেন, তার জন্যই এই সংঘর্ষবিরতি। এই চারটি শহরের মধ্যে কিয়েভ, খারকিভ, মারিউপল ছাড়া সুমিও আছে। ফলে সুমি ও অন্য শহর থেকে ভারতীয় ছাত্রছাত্রীদের বের করে এনে ভারতে নিয়ে আসা এবার সম্ভবপর হবে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আগে জানিয়েছিলেন, কিয়েভে আর কোনো ভারতীয় নেই।
কিন্তু সুমিতে আছে। অন্য শহরগুলিতেও আছে। প্রায় তিন হাজারের মতো ভারতীয় ছাত্রছাত্রী এখনো ইউক্রেনে আছেন। তাদের এবার নিরাপদে ভারতে ফিরিয়ে আনাটাই পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রথম কাজ হবে বলে সরকারি সূত্র জানাচ্ছে।
জিএইচ/এসজি (পিটিআই, এনডিটিভি)