ইউনিসেফ নির্বাচিত সেরা ছবিগুলো
২০০০ সাল থেকে ‘ইউনিসেফ ফটো অফ দ্য ইয়ার’ পুরস্কার দিয়ে আসছে ইউনিসেফ জার্মানি৷ সারা বিশ্বের শিশুদের ব্যক্তিত্ব ও জীবনযাত্রার অবস্থা তুলে ধরা আলোকচিত্রীদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়৷
ইউক্রেন: যুদ্ধের কালো মেঘের নিচে
পেছনে ড্রোম হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত তেলের ডিপো থেকে কালো ধোঁয়া উড়ছে৷ এরই মধ্যে পাঁচ বছর বয়সি অ্যালিনা সাইকেল চালানো শিখছে৷ পেছনে তার দুই বন্ধু আছে৷ ইউক্রেনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ছবিটি তুলেছেন পোল্যান্ডের আলোকচিত্রী প্যাট্রিক জারাকজ৷ এটি সেরা ছবি মনোনীত হয়েছে৷ থেকে তোলা৷
আফগানিস্তান: চায়নাব়্যাকের গহবরে
কাবুলের উত্তরে অবস্থিত পাহাড়ি এলাকার চায়নাব়্যাক কয়লাখনিতে কাজ করা ১০ বছর বয়সি এই শিশু শ্রমিকের ছবিটি তুলেছেন অলিভার ভাইকেন৷ এটি দ্বিতীয় সেরার পুরস্কার পেয়েছে৷ আফগানিস্তানে শিশু শ্রম বিষয়টি নতুন না হলেও তালেবান আসার পর সংখ্যাটি আরও বেড়েছে৷
রাশিয়া: শিশুকালের পরিবর্তন
রাশিয়ার নাতালিয়া সাপরুনোভার এই ছবিটি তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে৷ সাইবেরিয়ার উত্তর-পূর্বের ইয়াকুটিয়ায় ছবিটি তোলা হয়েছে৷ সেখানকার আদিবাসী ইভেঙ্কি গোষ্ঠীর মানুষেরা আগে শুধু বলগাহরিণ পালন করতো৷ এখন সেখানে সোনা ও হীরার খনি ব্যবসায়ীরা গেছেন৷ কাঠ ব্যবসায়ী, এমনকি মিশনারিরাও সেখানে যাওয়ায় ইভেঙ্কি জনগোষ্ঠীর জীবনে পরিবর্তন এসেছে৷
জার্মানি: ইয়োহানেসের চারপেয়ে বোন
জার্মান আলোকচিত্রী মিশায়েল ল্যোভা ‘অনারেবল মেনশন’ পেয়েছেন৷ জার্মানির প্রায় ৩৫ হাজার শিশু ও তরুণ টাইপ এক ডায়াবেটিসে ভোগে৷ ইয়োহানেস তাদের মধ্যে একজন৷ তার কুকুর এনিয়া তাকে সহায়তা করে৷ ইয়োহানেসের রক্তে শর্করার মাত্রার বিপজ্জনক ওঠানামা শুঁকতে পারে এনিয়া৷ সেক্ষেত্রে বেল বাজিয়ে ইয়োহানেসের মা-বাবাকে বিষয়টি জানানোর প্রশিক্ষণ আছে এনিয়ার৷
যুক্তরাষ্ট্র: আমার সঙ্গে কী হচ্ছে?
নিউজিল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী আলোকচিত্রী রবিন হ্যামন্ড যুক্তরাষ্ট্রের পাঁচটি রাজ্যের তরুণদের পোর্ট্রেট ছবি তুলেছেন৷ ছবিতে জর্জিয়ার ১১ বছর বয়সি কলিনকে দেখা যাচ্ছে৷ সে জীবন, মানসিক স্বাস্থ্য ও যেসব বিষয় নিয়ে সে উদ্বিগ্ন সেসব নিয়ে কথা বলেছে৷ ‘‘আমি স্কুলে নিরাপদ অনুভব করতাম৷ কিন্তু আশেপাশের রাজ্যে স্কুলে গোলাগুলির খবর দেখার পর আমি অনেক ভয় পেয়েছি৷ এখন স্কুলটা আগের চেয়ে কম নিরাপদ মনে হয়৷’’
সিয়েরা লিওন: ধীরে ধীবে সাগরে তলিয়ে যাওয়া
ব্রিটিশ আলোকচিত্রী টমি ট্রেনশার্ড জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখতে সিয়েরা লিওন গিয়েছিলেন৷ ছবিতে আট বছরের এনডোল কামারাকে দেখা যাচ্ছে৷ তার বাড়ি নিয়ানগাই দ্বীপে৷ সে তার পরিবারের মাছ শুকানোর জায়গায় বসে আছে৷ পাশেই সাগরের পানি৷ যতবারই দ্বীপের বাসিন্দাদের বাড়ি সাগরগর্ভে তলিয়ে গেছে ততবারই নতুন করে বাড়ি তৈরি করেছেন তারা৷
ভারত: ছোট্ট পানির পাত্রের ভবিষ্যৎ
সুপ্রতিম ভট্টাচার্য পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়ায় এই ছবিটি তুলেছেন৷ ছোট্ট মেয়েটিকে কংসাবতী নদীর গর্ভ খুঁড়ে পানি নিতে দেখা যাচ্ছে৷ পানির সংকট তীব্র হওয়ায় সেখানকার অনেক বাসিন্দাকে পানির খোঁজে কয়েক কিলোমিটার হাঁটতে হয়৷