ইউনূসকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ
১৬ নভেম্বর ২০১৩এদিকে, গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক তাহসিনা খাতুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, তাঁকে তাঁর যোগ্য সম্মান না দিলে দেশের সাধারণ মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত হবে৷
বৃহস্পতিবার জার্মান রাষ্ট্রপতি ইওয়াখিম গাউকের একটি আমন্ত্রণপত্র পৌঁছে দিতে ড. ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন রাষ্ট্রদূত আলব্রেশট কনসে৷ এসময় তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ঋণ এবং সামাজিক ব্যবসার পথিকৃৎ ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর নিজের দেশে ইদানিং যোগ্য সম্মান পাচ্ছেন না৷ বিষয়টি আমাকে মর্মাহত করেছে৷''
জার্মান দূতাবাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জার্মান রাষ্ট্রপতি ইওয়াখিম গাউক আগামী বছরের শুরুর দিকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জার্মানি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন৷ রাষ্ট্রদূত কনসে বলেন, ড. ইউনূস সমাজের অবহেলিত এবং নিম্নবিত্ত, বিশেষ করে নারীদের জীবনমান উন্নয়নে যে ভূমিকা রেখেছেন জার্মানি তার প্রশংসা করে৷ রাষ্ট্রদূত জানান জার্মান ভিত্তিক ‘গার্মেন্টস ইন্ডাষ্ট্রি ট্রান্সপারেন্সি ইনিশিয়েটিভ' বা জিআইটিই এর উদ্যোক্তা হলেন ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক পেটার আইগেন এবং ড. মুহাম্মদ ইউনূস৷ এই প্রতিষ্ঠানটি পোশাক কারখানায় গ্রহণযোগ্য ন্যূনতম মজুরি নিয়ে বিশ্বব্যাপী কাজ করে – যা একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ৷ ড. ইউনূসের এই উদ্যোগ রানা প্লাজা ধসের পর বাংলাদেশের পোশাক শিল্প নিয়ে সারা বিশ্বে যে নেতিবাচক ধারণার সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করবে৷
এদিকে গ্রামীণ ব্যাংকের পরিচালক তাহসিনা খাতুন ডয়চে ভেলেকে বলেন, জার্মান রাষ্ট্রদূত দুঃখ করে যে কথা বলেছেন তা যথার্থ৷ তিনি বলেন কোনো এক অজ্ঞাত কারণে বর্তমান সরকার জেদের বশবর্তী হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না৷ কিন্তু দেশের মানুষের কাছে তিনি সম্মানিত৷ শুধু দেশে নয় বিদেশের মানুষজনও তাঁকে শ্রদ্ধা করে৷ তিনি দেশের মানুষের জন্য কাজ করছেন৷ সরকার তাঁকে শুধু গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকেই সরিয়ে দেয়নি, তাঁকে নানাভাবে হয়রানিরও চেষ্টা করছে, বলে অভিযোগ করেন তাহসিনা খাতুন৷ তিনি বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মতো একজন মানুষকে যোগ্য সম্মান না দিলে তাতে দেশের মানুষেরই ক্ষতি৷ ‘‘তাঁকে অসম্মান করলে আমরাই ছোট হয়ে যাব, তিনি ছোট হবেন না৷''