ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের স্বীকৃতি শান্তিনিকেতনকে
১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩রোববার ইউনেস্কো এই খবর জানিয়েছে। তাদের এক্স (টুইটার) হ্যান্ডেলে এই ঘোষণা দিয়েছে ইউনেস্কো। ইউনেস্কো এই খবর জানানোর পরেই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী এক্সেই নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানান।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী লিখেছেন, 'জেনে আনন্দিত হলাম যে গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্বপ্ন ও ভারতের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মূর্ত রূপ শান্তিনিকেতন ইউনেস্কো বিশ্ব পরম্পরার তালিকায় এসেছে।' তিনি লিখেছেন, সমস্ত ভারতীয়ের কাছে এ এক গর্বের মুহূর্ত।
শান্তিনিকেতনের নাম যে ইউনেস্কোর হেরিটেজের তালিকায় আসতে পারে তা এবছরের গোড়ার দিকেই বোঝা গেছিল। রবীন্দ্রজয়ন্তীর পরের দিনই কেন্দ্রীয় সংস্কৃতিমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় রাখার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। ইউনেস্কোর উপদেষ্টা সংগঠন ইকোমস এই সুপারিশ করে। সে সময়ই জানা গেছিল, সেপ্টেম্বরে রিয়াধের একটি সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে তা ঘোষণা করা হলো।
এদিকে এই ঘোষণার পর রোববার পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করে জানিয়েছেন, 'বিশ্ববাংলার গর্ব শান্তিনিকেতনকে লালন করেছেন কবি। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বাংলার মানুষ এই বিশ্ববিদ্যালয়কে সমর্থন করে গেছেন।' মমতা জানিয়েছেন, গত ১২ বছরে শান্তিনিকেতনের পরিকাঠামোগত উন্নয়নে রাজ্য সরকার সবরকম সাহায্য করেছে। ভবিষ্যতেও করবে।গত বেশ কিছু বছর ধরে বিশ্বভারতী নিয়ে নানা গোলযোগ চলছে। একের পর এক বিতর্ক দানা বাঁধছে এই বিশ্ববিদ্যালয় ঘিরে। প্রশ্ন উঠছে শিক্ষাঙ্গনে রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ নিয়েও। তৃণমূল ও বিজেপি সরাসরি তাদের অবস্থান নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা ঘটনায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং শিক্ষকদের ঘিরেও নানা বিতর্ক চলছে। তারইমধ্যে এই খবর এসেছে।
এসজি/জিএইচ (পিটিআই)