নেতিবাচক প্রভাব
১২ জুন ২০১২টাকার হিসেবে চলতি বছরের মার্চ, এপ্রিল এবং মে মাসে বাংলাদেশের রপ্তানি কমেছে৷ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর হিসেবে সর্বশেষ মে মাসে রপ্তানি আয় কমেছে ৪.১৭ ভাগ৷ আর মার্চ, এপ্রিলে কমেছে যথাক্রমে ৭.২৩ এবং ৭.১৩ ভাগ৷ এই পরিস্থিতির কথা স্বীকার করলেও বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক সালাউদ্দিন মাহমুদ ডয়চে ভেলেকে জানান, রপ্তানির প্রবৃদ্ধি ঠিক আছে৷ তাতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব এখনো পড়েনি৷ শতকরা ৭ ভাগই আছে৷ তবে ইউরো সংকটের কিছু নেতিবাচক প্রভাব গত ৩ মাসের রপ্তানিতে রয়েছে৷
তিনি জানান, বিশ্ব মন্দার পরও বাংলাদেশ তার রপ্তানি বানিজ্যে অবস্থান সংহত রেখেছে৷ গত অর্থবছরে বাংলাদেশের রাপ্তানি প্রবৃদ্ধি ছিল রেকর্ড পরিমাণ শতকরা ৪১ ভাগ৷
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালক জানান, ইউরোপ বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় বাজার৷ সেখানে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ কমেনি৷ তবে একই পরিমাণ রপ্তানি পন্য থেকে আগের চেয়ে কিছুটা কম দাম পাওয়া যাচ্ছে৷ কারণ সেখানকার মানুষের ক্রয় ক্ষমতা কমেছে৷ তাই দাম কম দিচ্ছে৷
সালাউদ্দিন মাহমুদ জানান, বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ধরে রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে৷ এ নিয়ে রপ্তানিকারকদের সঙ্গে তারা বৈঠক করেছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ