ইউরোপবাসীর ওজন বাড়ছে
২৬ নভেম্বর ২০১৩অতিরিক্ত ওজনের সমস্যা বিবেচনায় এক নম্বরে রয়েছে হাঙ্গেরি, তারপর যথাক্রমে ইংল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, মাল্টা এবং লুক্সেমবুর্গ৷ ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এদের অবস্থা সবচেয়ে সঙ্গিন৷
তবে পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, তুলনামূলকভাবে জার্মানির অবস্থা তেমন একটা খারাপ নয়৷ জার্মানিতে মানুষের বয়সের সাথে সাথে ওজনও বাড়ে৷ ইদানীং অবশ্য কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে মোটা হওয়ার প্রবণতা বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ বর্তমানে কিশোর-কিশোরীদের অতিরিক্ত ওজনের সংখ্যা প্রায় চার মিলিয়ন৷ জার্মানিতে ১৯৯০ সালের পর থেকে ১৭ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের অতিরিক্ত মোটা হওয়ার সংখ্যা বেড়ে শতকরা ৫০ হয়েছে৷ অন্যদিকে, অ্যামেরিকা এবং ব্রিটেনে অতিরিক্ত মোটা কিশোর-কিশোরীর সংখ্যা আগের মতোই রয়েছে, অর্থাৎ শতকরা ৬০ ভাগের ওপরে৷
পরিমাণ মতো খান, ওজন কমান
মোটা রোগীরা যখন ডাক্তারের কাছে যান, ডাক্তাররা প্রথমেই ওজন কমানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন৷ অতিরিক্ত ওজনের মানুষদেরই উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিস হবার আশঙ্কা থাকে৷ প্রতিদিন খাবারে তালিকায় দুধ বা দুধ জাতীয় খাবার রাখতে হবে৷ নিয়মিত খেতে হবে তাজা শাক-সবজি, রুটি, নুডলসসহ বিভিন্ন শস্যদানা, আলু ইত্যাদি৷ তবে মাছ, মাংশ, ডিমের প্রয়োজন প্রতিদিন নেই, সপ্তাহে এক বা দু'দিন হলেই যথেষ্ট৷
জার্মানির খাদ্য সংস্থা জানিয়েছে, খাবার উপভোগ করা মানেই কিন্তু মোটা হওয়া নয়৷ ওজন ঠিক রাখতে হলে মনে রাখতে হবে রান্না করার সময় কম তাপ, অল্প সেদ্ধ, কম তেল আর কম পানি ব্যবহার করার কথা৷ এসব দিকে লক্ষ্য রাখলেই কেবল খাবারের আসল স্বাদ ও পুষ্টি ধরে রাখা সম্ভব৷
খেলাধুলা ও ব্যায়াম করা জরুরি
তাছাড়া কিশোর-কিশোরীদের ওজন কমানোর জন্য অ্যামেরিকার স্কুলগুলোর মতো আরো বেশি খেলাধুলা এবং ব্যায়ামের ব্যবস্থা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন জার্মানির বখুম শহরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্যার্নহার্ড গিসে৷
সকালের নাস্তা গুরুত্বপূর্ণ
বিশেষজ্ঞদের মতে, সকালের নাস্তা ভালো করে করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে দিনে একবেলা কম খেলেও সমস্যা নেই৷ পাশাপাশি ফাস্ট ফুড খাওয়া কমাতে হবে এবং সপ্তাহে অন্তত দু'দিন ব্যায়াম করা প্রয়োজন৷ ওজন কমানোর জন্য শুধু খাদ্যাভাসের পরিবর্তন করলেই হবে না, করতে হবে প্রচুর হাঁটা-চলা এবং ব্যায়াম৷ এছাড়াও পান করতে হবে প্রচুর পানি৷ একমাত্র তবেই কাঙ্খিত স্বাস্থ্য পাওয়া সম্ভব৷