1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

ইউরো এলাকা ঘুরে দাড়াচ্ছে

৪ সেপ্টেম্বর ২০১৩

মন্দা কাটিয়ে ইউরো এলাকা ধীরে হলেও ঘুরে দাঁড়াচ্ছে৷ এর সপক্ষে প্রকাশিত হচ্ছে একের পর এক তথ্য-পরিসংখ্যান৷ বিশেষ করে জার্মানির ধারাবাহিক সাফল্য এই প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করছে৷ সুখবর এসেছে ইউরো এলাকা থেকে৷

https://p.dw.com/p/19amk
Männerhände halten ein schwarzes Portmonee mit einem Sortiment von verschiedenen Euro-Geldscheinen, Fünfzig-, Hundert-, Zweihundert- und Fünfhundert-Banknoten. Aufnahme von 2006. Foto: Michael Rosenfeld +++(c) dpa - Report+++
ছবি: picture-alliance/dpa

শুধু ইউরো এলাকা নয়, চীন থেকেও এসেছে সুখবর৷ আর তাতে বাজার বেশ চাঙ্গা হয়ে উঠেছে৷ ইউরো এলাকার উৎপাদনের সূচক গত ২৬ মাসে সবচেয়ে উঁচু অবস্থানে পৌঁছেছে৷ অর্থাৎ মন্দা কেটে যাচ্ছে৷ ‘গ্লোবাল ইকোনমিক রিকাভারি' বা বিশ্ব অর্থনীতির উন্নতির সম্ভাবনাও উজ্জ্বল হয়ে উঠছে৷ তাছাড়া সিরিয়ায় যুদ্ধের আশঙ্কা আপাতত দূর হওয়ার ফলেও দুশ্চিন্তা কিছুটা দূর হয়েছে৷ ভোডাফোন-ভেরাইজন চুক্তির ফলেও ইউরোপের পুঁজিবাজার সন্তুষ্ট৷

ইউরো এলাকার এই উন্নতির পেছনে অবশ্য সব দেশের সমান অবদান নেই৷ ইউরো এলাকা সংক্রান্ত যে কোনো ইতিবাচক সূচকের মতো এক্ষেত্রেও জার্মানির বিশেষ ভূমিকা রয়েছে৷ সে দেশের আসন্ন সাধারণ নির্বাচনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সরকার ভোটারদের কাছে এই সাফল্যকেই তুলে ধরার চেষ্টা করছে৷ আসলে একদিকে রয়েছে জার্মানির মতো দেশ, যারা ঠিক সময় প্রয়োজনীয় সংস্কার চালিয়ে সংকটের মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে৷ অন্যদিকে রয়েছে গ্রিসের মতো সংকটগ্রস্ত দেশগুলি, যারা প্রবল চাপের মুখে পড়ে দ্রুত অনেক অপ্রিয় সংস্কার চালাতে বাধ্য হচ্ছে৷ তাদের মাঝে আছে ফ্রান্সের মতো দেশ, যারা ঠিক সংকটে না পড়লেও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছে৷ ফ্রান্স তার উপর কর বাড়িয়ে শিল্প ও বাণিজ্য জগতকে আরও হতাশ করেছে৷ তবে করের ক্ষেত্রে কিছুটা নমনীয় হয়ে সরকারি ব্যয় কমিয়ে প্রবৃদ্ধি বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়েছে সে দেশের সরকার৷ এই সব কটি দেশই যখন দুর্বলতা ঝেড়ে ফেলে প্রতিযোগিতার বাজারে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, তখন সংকটের সম্ভাবনা আর থাকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা৷

ইউরো এলাকার সংকটগ্রস্ত দেশগুলিকে যে বেলআউট দেয়া হচ্ছে, তার ফলেও কাজ হচ্ছে৷ বেলআউট নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়েছে৷ কিন্তু এর প্রবক্তারা মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, এর সঙ্গে যে সব কড়া শর্ত জুড়ে দেয়া হয়েছে, সেগুলির ফলে সংকটগ্রস্ত দেশগুলিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার চালাতে হবে ও সরকারি ব্যয় কমাতে হবে৷ এবার সেই কড়া দাওয়াইয়ের সুফল দেখতে পাওয়া যাচ্ছে৷ যেমন সাইপ্রাসের জন্য ১,০০০ কোটি ইউরো-র যে বেলআউট স্থির করা হয়েছিল, তার উদ্দেশ্য সফল হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন৷ বাকি দেশগুলির অগ্রগতিও ইতিবাচক৷ যদিও গ্রিসের আরও সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে৷ অর্থাৎ, সংকটের মূল কারণগুলি দূর করাই হলো আসল উদ্দেশ্য৷

এসবি/ডিজি (ডিপিএ, রয়টার্স, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য