আরো বেশি একীকরণ?
৫ জুলাই ২০১৪গত বুধবার স্ট্রাসবুর্গে নবনির্বাচিত ইউরোপীয় সংসদের প্রথম অধিবেশনে নিগেল ফারাজ বলেন: ‘‘আপনাদের যাতে অভ্যস্ত হতে হবে, সেটা হলো....আজ এই সংসদে যত ইউরো-নিন্দুকরা রয়েছেন, এর আগে কখনো তা ছিল না৷ এবং তাদের অনেকেই (ইউরোপের) আরো বেশি একীকরণ সমর্থন করে না৷''
‘‘আমরাই আসলে গণতন্ত্র চাই....এই মিউজিয়ামের মধ্যে আটকা পড়ে থাকতে চাই না,'' ফারাজ বলেন৷ ইউনাইটেড কিংডম ইন্ডিপেন্ডেন্স পার্টির প্রধান ফারাজ সম্প্রতি ইটালির ‘ফাইভ স্টার মুভমেন্ট'-এর সঙ্গে একত্রে ইউরোপীয় সংসদের ৪৮ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি ইউরো-নিন্দুক গোষ্ঠী গঠন করেছেন৷ সারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন জুড়ে ভোটাররা তাদের নানা অতৃপ্তি ও অসন্তোষ ব্যক্ত করার পর ব্রাসেলসে ‘‘বিজনেস অ্যাজ ইউজুয়াল'' চালানো সম্পর্কে সাবধান করে দিয়ে ফারাজ বলেন, তাঁর দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পথে এবং ‘‘আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে আমি আর এখানে থাকব না''৷
পরে ফ্রান্সের উগ্র দক্ষিণপন্থি জাতীয় ফ্রন্ট দলের নেত্রী মারিন ল্য পেন-ও অনুরূপ মন্তব্য করেন৷ ব্রাসেলস সম্পর্কে তাঁর উক্তি: ‘‘কিছু মানুষ আছে, যারা অন্ধ৷ আর কিছু মানুষ আছে, যারা দেখতে চায় না৷ একটা নতুন হাওয়া বইছে৷ আমরা একটি অ-গণতান্ত্রিক, নির্মম, বিচ্ছিন্ন ইউরোপের বিরুদ্ধে লড়ছি৷''
ফারাজ জঁ ক্লোদ ইয়ুংকারকে ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচন করারও সমালোচনা করেন৷ সেটা নাকি কোনোমতে ‘‘জোড়াতালি দিয়ে'' করা হয়েছে: ‘‘ওদের পক্ষে এটা একটা ‘ড্যাম' গণতন্ত্র৷ কিন্তু আসলে এটা শুধু ইউরোপীয় ইউনিয়নের হর্তাকর্তাদের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগি ছাড়া আর কিছু নয়৷''
আসলে ফারাজ কিংবা ল্য পেন যে পরোক্ষ হুমকিটি দিচ্ছেন, সেটি হলো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি অনুমোদনের সময় ইউরোপীয় সংসদে ঝড় বইবে৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এএফপি)