ইউরো ২০১২
৭ জুন ২০১২তাইতো বিশ্বকাপ ফুটবলের পর এটাই সবচেয়ে উত্তেজনাকর টুর্নামেন্ট৷ তবে অনেকের মতে, ফুটবলের মান বিচারে ইউরো'ই সবচেয়ে আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতা৷ কেননা ফিফা ব়্যাংকিং এ বিশ্বের সেরা ২০টি দেশের ১৩টিই খেলছে এবারের ইউরো'তে৷
সেকারণে ইউরোপের এই টুর্নামেন্টকে ঘিরে হাজার হাজার মাইল দূরের এশিয়াতেও উন্মাদনা শুরু হয়ে গেছে৷ বাংলাদেশের একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেল ইউরোর খেলাগুলো সরাসরি দেখানোর জন্য বিশাল অংকের টাকা খরচ করছে৷ এছাড়া ঢাকায় বড় পর্দায় খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে৷
এশিয়ার আরেক দেশ মালয়েশিয়াও পিছিয়ে নেই৷ সেখানকার স্থানীয় সময় সকালের দিকে খেলাগুলো হবে৷ তাই অনেক হোটেল কর্তৃপক্ষ বেশি বেশি ক্রেতা আকর্ষণের জন্য তাদের হোটেলে সরাসরি খেলা দেখানোর ব্যবস্থা করেছে৷ তাদের এই আয়োজনের জানান দিতে হোটেলগুলোতে বড় বড় ব্যানার টাঙানো হয়েছে৷
মালয়েশিয়ার সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজা সবাই ফুটবল পাগল৷ ২০০৬ সালে স্থানীয় লিগের ফাইনাল খেলা দেখার জন্য স্বয়ং মালয়েশিয়ার রাজা ৭৮ বছর বয়সে প্রায় এক কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে স্টেডিয়ামে পৌঁছেছিলেন৷ কেননা তাঁর গাড়িটি যানজটে আটকে গিয়েছিল, আর ওদিকে খেলা শুরু হওয়ার সময় হয়ে গিয়েছিল৷
তো, যে দেশের রাজা এমন সে দেশের সাধারণ মানুষ কেমন হতে পারে সেটা সহজেই অনুমেয়৷ তাইতো ফ্রান্সিস নামের এক ফ্যাক্টরি শ্রমিক বলছেন, কোন কোন খেলা তিনি দেখবেন সেটা তিনি ইতিমধ্যেই বাছাই করে ফেলেছেন৷ এবং সেদিন তিনি ‘অসুস্থ' হয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন৷ মানে অফিস ফাঁকি দেয়ার চিন্তা করছেন!
মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানির মালিকদের সংগঠন ব্যাপারটা বুঝতে পেরে সবাইকে এ ধরণের ‘বুদ্ধি' না করার আহ্বান জানিয়েছেন৷ কেননা তাদের আশঙ্কা, এর ফলে ইউরোর সময়ে মালয়েশিয়ার সামগ্রিক উৎপাদনে কমে যেতে পারে৷ তাই তারা রাত জেগে বা অফিস ফাঁকি দিয়ে পছন্দের খেলা না দেখে সেটা রেকর্ড করে পরে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন৷
কিন্তু ফুটবলের মতো উত্তেজনাকর খেলা কে সরাসরি না দেখে পরে দেখবে, সেটা অবশ্য ভেবে দেখা যেতে পারে৷
প্রতিবেদন: ডিপিএ / জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন