ইউরো ২০২৪: যে ফুটবলারেরা অন্য দেশের হয়ে খেলতে পারতেন
ইউরো ২০২৪-এ অংশ নেওয়া কয়েকজন ফুটবলার বর্তমান দেশের হয়ে না খেলে অন্য দেশের হয়েও খেলতে পারতেন৷ ছবিঘরে তাদের কথা থাকছে৷
জামাল মুসিয়ালা
খেলছেন জার্মানির হয়ে৷ তবে খেলতে পারতেন ইংল্যান্ডের হয়েও৷ কারণ জার্মানিতে জন্ম নেওয়া মুসিয়ালা সাত বছর বয়সে ইংল্যান্ডে চলে যান৷ সেখানে চেলসি ফুটবল অ্যাকাডেমিতে তিনি ফুটবলার হয়ে ওঠেন৷ ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক দলেও খেলেছেন৷ তবে পরবর্তীতে জার্মানির জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার সিদ্ধান্ত নেন মুুসিয়ালা৷ ২০২১ সালের মার্চে জার্মানির হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলেন তিনি৷
কিলিয়ান এমবাপে
বাবা ক্যামেরুনের আর মা আলজেরিয়ার হওয়ায় ঐ দুই দেশের হয়েই খেলতে পারতেন এমবাপে৷ তবে বয়সভিত্তিক থেকে শুরু করে জাতীয় দল সবসময় ফ্রান্সকেই বেছে নিয়েছেন তিনি৷
মাটেও রেটেগি
আর্জেন্টিনায় জন্ম ও বেড়ে ওঠা রেটেগি ২০২৩ সালের মার্চে ইটালি জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন৷ আর্জেন্টিনার বোকা জুনিয়র্সে ২০১৮ সালে পেশাদার জীবন শুরু করা রেটেগি পরবর্তীতে ইটালির সিরি এ দল জেনোয়াতে যোগ দেন৷ তার দাদা-দাদি, নানা-নানির মধ্যে দুজন ইটালির হওয়ায় ইটালির হয়ে খেলার সুযোগ হয় তার৷
কালাম স্টাইলস
ইংল্যান্ডের গ্রেটার ম্যানচেস্টারে জন্মগ্রহণ করা স্টাইলসের দাদা-দাদি, নানা-নানি হাঙ্গেরি ও ইউক্রেনের৷ ফলে দুই দেশের হয়েই খেলার সুযোগ ছিল তার৷ তবে তিনি হাঙ্গেরিকে বেছে নিয়েছেন৷ ২০২২ সালের মার্চে তিনি প্রথম হাঙ্গেরির হয়ে খেলেন৷
ইলকায় গুনডোয়ান
জার্মানির গেলজেনকির্শেনে তুর্কি মা-বাবার ঘরে জন্মগ্রহণ করেন গুনডোয়ান৷ তার দাদা খনিকর্মী হিসেবে কাজ করতে তুরস্ক থেকে জার্মানিতে এসেছিলেন৷ গুনডোয়ান জার্মানির হয়ে খেলছেন৷
লামিন ইয়ামাল
মরক্কোর বাবা ও ইকুয়েটোরিয়াল গিনির মায়ের ঘরে স্পেনে জন্মগ্রহণ করেন ইয়ামাল৷ ১৬ বছর ৫০ দিন বয়সে স্পেনের জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার৷
জেরেমি ফ্রিমপং ও মেম্ফিস ডেপায়
জেরেমি ফ্রিমপং (বামে) ও মেম্ফিস ডেপায় (ডানে) দুজনই নেদারল্যান্ডসের হয়ে খেলেন৷ তবে দুজনেরই ঘানার হয়ে খেলার সুযোগ ছিল৷ ফ্রিমপং ইংল্যান্ডের হয়েও খেলতে পারতেন, কারণ সাত বছর বয়সে তিনি মা-বাবার সঙ্গে ইংল্যান্ডে জীবন শুরু করেছিলেন৷
রোমেলু লুকাকু
মা-বাবা দুজনই ডিআর কঙ্গোর৷ তবে লুকাকুর জন্ম বেলজিয়ামে৷ ১১৪ খেলায় ৮৩ গোল করে বেলজিয়ামের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা তিনি৷
হাকান চালহানলু
জার্মানির মানহাইমে তুর্কি মা-বাবার ঘরে জন্ম তার (৫ নং জার্সি পরিহিত)৷ কখনও তুর্কি কোনো ক্লাবে খেলেননি তিনি৷ তবে ২০১৩ সাল থেকে তিনি তুরস্ক জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন৷
গ্রানিট জাকা ও জেরডান শাকিরি
দুইজনই খেলছেন সুইজারল্যান্ডের হয়ে৷ তবে আলবেনিয়ার হয়েও খেলতে পারতেন তারা৷ জাকার জন্ম সুইজারল্যান্ডে হলেও শাকিরির জন্ম আলবেনিয়ায়৷